Child Murder: ‘হাত-পা বেঁধে গামলার জলে ফেলে রেখেছিল’, দেড় বছরের ছেলেকে হারিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় যুবতী
Child Murder: ইতিমধ্যে মৃত শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। চাপা উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়।
নন্দকুমার: নন্দকুমারে এক শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা গোটা এলাকায়। এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার ইরখা গ্রামে দেড় বছরের এক শিশুপুত্রের মৃত্যু হয় বলে খবর। মৃত শিশুর দাদুর অভিযোগ, এই কাণ্ড ঘটিয়েছে শিশুটির বাবা ভগবৎ পাল (৩৫)। সেই শিশুটিকে খুন (Child Murder) করে পালিয়েছে। শিশুটির নাম দেবরাজ পাল। বয়স মাত্র দেড় বছর। অভিযোগ, প্রায়ই স্ত্রী মঞ্জুশ্রী পালের (১৯) সঙ্গে ঝামেলা লেগে থাকত ভগবতের। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি। স্বামীর বিরুদ্ধে মারধরেরও অভিযোগ করেছেন মঞ্জুশ্রী দেবী।
অশান্তির জেরে মঞ্জুশ্রী দেবী সম্প্রতি তাঁর বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। এরমধ্য়ে গতকাল গিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ি। সেখানেই স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এদিকে স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিকবার নন্দকুমার থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন তিনি। যদিও তাঁর অভিযোগ, সব জানার পরও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বাধ্য হয়ে মঞ্জুশ্রী পালের বাবা তমলুক আদালতের দ্বারস্থ হন। জামাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন। এরমধ্যে ঘটে গেল এই ঘটনা। ছোট্ট দেবরাজের মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। খোঁজ মিলছে না ভগবতের। অভিযুক্তের খোঁজে জোরকদমে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। খোঁজ চলছে তাঁর মা-বাবারও। অভিযোগ হয়েছে আরও একজনের নামে।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ভগবতের বাড়ি নন্দকুমার থানার মধ্যিপুর গ্রামে। সেখানেই সে এই কাণ্ড করেছে বলে খবর। ইতিমধ্যে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। চাপা উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনা প্রসঙ্গে মঞ্জুশ্রী দেবী বলেন, “কাল সন্ধ্যাবেলা ছেলেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ঢুকছিলাম। তখনই শ্বশুর, শাশুড়ি ও আমার স্বামী আমার উপর চড়াও হয়। আমার মুখ চেপে ধরে আমাকে মারধর করে। আমার শাশুড়ি আমার ছেলের হাতে পায়ে দড়ি বেঁধে গামলার জলে ফেলে রাখে। তারপর বাড়ির পিছনে পেয়ারা গাছের নীচে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এলাকার লোকেদের থেকে আমার বাবা জানতে পেরে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।”