পূর্ব মেদিনীপুর: তাঁর কথায় শোরগোল পড়েছে গোটা বাংলায়। মহিলা বন আধিকারিককে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি, ৭-১০ দিনের সময়সীমা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মন্ত্রিত্ব পদ খোয়াতে চলেছেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। তমলুকে ‘দখলদার উচ্ছেদ’ করতে গিয়ে এক মহিলা রেঞ্জ অফিসারের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অখিল গিরি। তারপর ওই মহিলা অফিসারের উদ্দেশে অখিলকে ‘জানোয়ার’, ‘বেয়াদপ’ বলতেও শোনা যায়। তাতেই জল গড়ায় প্রশাসনের একেবারে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত। রুষ্ট হন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এসবের পরও অখিল গিরি প্রথম থেকে যে দাবি করে আসছিল, বনদফতরের দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে, সেটা বিষয়ে অনঢ়। অখিলের বক্তব্য, বনাঞ্চলের গাছ বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে চোরাকারবারিদের। টাকার বিনিময়ে বনাঞ্চল সাফ করে স্থায়ী নির্মাণ করা হচ্ছে অভিযোগ। বন অফিসারদের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিধানসভায় বন দফতরের দুর্নীতি ফাঁস করার হুঁশিয়ারিও দেন অখিল।
অখিলের বক্তব্য, “শঙ্করপুরের জঙ্গলে এলাকার মধ্যে গাছগুলো যখন শুকিয়ে যায়, যেগুলো জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বন দফতর সরকারি ট্রেজারির টাকা সরকারি হিসাবে দেখায় না। বন দফতরের অনেক রকম কাজকর্ম রয়েছে। বনদফতরের কাজের হিসাব পঞ্চায়েতে রয়েছে। আপনারা কীভাবে দুর্নীতি করছেন, সাধারণ মানুষ এসে বলছেন, এবার আপনাদের কাজের খতিয়ান আমরা পঞ্চায়েত দেখব।”
বিধানসভায় বনদফতরের দুর্নীতি ফাঁস করার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রিত্ব পদ খোয়াতে চলেছেন অখিল। সোমবারই পদত্যাগ করছেন তিনি। সে কথা নিজেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।