পূর্ব মেদিনীপুর: বিজেপির বাংলা বাঁচাও কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল নন্দীগ্রামে। অভিযোগ এই কর্মসূচি ঘিরে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় তৃণমূল ও বিজেপি নেতারা। সোমবারের এই ঘটনায় কমপক্ষে দু’পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেলে এই ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রেয়াপাড়া।
সোমবার বিকেলে শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিজেপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলার সময় তৃণমূলের লোকজন লাঠি, ইট নিয়ে বিজেপি সমর্থকদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এই হামলায় বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি প্রলয় পাল-সহ তিন বিজেপি সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়।
প্রলয় পালের অভিযোগ, “আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ করছিলাম। আমাদের কর্মসূচি যখন শেষের দিকে, তখন তৃণমূলের লোকেরা হামলা চালায় আমাদের উপর। মারধরও করে।” যদিও বিজেপির এই অভিযোগ মানতে রাজি নন নন্দীগ্রাম-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহাদেব বাগ। তিনি বলেন, “বিজেপির লোকেরা মিথ্যাবাদী। আমাদের দলনেত্রীর অবমাননা করছিল। আমাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানোর জন্যে তেড়ে আসছিল। আমাদের কর্মীরা শুধু প্রতিরোধ করেছে। কাউকে মারধর করেনি। বিজেপি নেতাদের তিলকে তাল করে নাটক করার অভ্যাস।” মহাদেব বাগের দাবি, বিজেপির কর্মীদের মারে তাঁদের চার, পাঁচজন সমর্থক আহত হয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার দুপুরে। বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার শুরু হয় কলকাতায়। এদিন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতারা। অভিযোগ, কর্মসূচি শুরুর আগেই বিজেপি নেতাদের আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলতে শুরু করে কলকাতা পুলিশ। দিলীপ ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীরা ধর্মতলায় গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসলে সেখান থেকে পুলিশ তাঁদের তুলে নিয়ে লালবাজারে যায় বলে অভিযোগ। এরপরই বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা এর প্রতিবাদে সরব হন। আরও পড়ুন: বিজেপির ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও’ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার, দিলীপ ঘোষকে ধরে টানাহ্যাঁচড়া পুলিশের