Contai: কে হবে চেয়ারম্যান? ব্যাঙ্কের অন্দরেই গুটি সাজানো শুরু
Contai: সুশ্বেতা প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরির ভাগ্নের স্ত্রী। ফলে তিনি যে গুটি সাজাবেন এটাই স্বাভাবিক। আর মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী হলেন শিউলি দাস। কোলাঘাটের বাড়বড়িশা নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্যানেলে দু'জন তফসিলি জাতিভুক্ত ডেলিগেট নির্বাচিত হয়েছেন।
পূর্ব মেদিনীপুর: কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনে পদ্ম শিবিরকে হেলায় হারিয়েছে তৃণমূল। এবার ব্যাঙ্কের পরিচালন মণ্ডলীতে ডেলিগেটদের মধ্যে কারা সুযোগ পাবেন । তা নিয়ে শুরু হয়েছে ঠান্ডা লড়াই। ১৪ টি নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে মোট ১৫ জন ডিরেক্টর নির্বাচিত হবেন। তাঁরাই আগামী পাঁচ বছরের জন্য পূর্ব ভারতের সর্ব বৃহৎ কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করবেন।
কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেসের প্যানেলে জয়ী ১০০জন ডেলিগেটের মধ্যে অন্তত ৪০জন ডিরেক্টর পদের জন্য লড়াইয়ে থাকছেন বলেই খবর। এনিয়ে দলের অভ্যন্তরে জোর লবির লড়াইও শুরু হয়েছে। কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের মোট ডিরেক্টর পদের সংখ্যা ১৫। তারমধ্যে সংরক্ষিত তিনটি। কাঁথি ও হলদিয়া জোনে দু’টি ডিরেক্টর পদ মহিলা সংরক্ষিত। কোলাঘাটের বাড়বড়িশা কেন্দ্রে ডিরেক্টর পদ তফসিলি জাতি-উপজাতি সংরক্ষিত। কাঁথি-২ কেন্দ্র থেকে সুশ্বেতা নায়ক এবং হলদিয়া কেন্দ্র থেকে জয়ী শিউলি দাসের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ডিরেক্টর হওয়া কার্যত নিশ্চিত।
সুশ্বেতা প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরির ভাগ্নের স্ত্রী। ফলে তিনি যে গুটি সাজাবেন এটাই স্বাভাবিক। আর মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী হলেন শিউলি দাস। কোলাঘাটের বাড়বড়িশা নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্যানেলে দু’জন তফসিলি জাতিভুক্ত ডেলিগেট নির্বাচিত হয়েছেন। দু’জনের মধ্যে একজন ডিরেক্টর হবেন। বাদ বাকি ১২টি অসংরিক্ষত ডিরেক্টর পদে লড়াই জমে উঠেছে।
তাঁদের মধ্যে থেকে আবার চেয়ারম্যান আসনের জন্য লাইন তৈরি হয়েছে। তালিকায় রয়েছেন জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ তরুণ জানা, শহর তৃণমূল সভাপতি হরিসাধন দাস অধিকারী, অখিল গিরি ঘনিষ্ঠ শহরের নেতা রত্নদীপ মান্না , আবার কসরত চলছে নতুন মুখ হিসেবে সুশ্বেতা নায়কে আনতে। আরও রয়েছেন কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলর দেবাশিস পাহাড়ি ও আলেম আলি খান, প্রাক্তন সহ সভাধিপতি মামুদ হোসেন, কাঁথি- ১ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুনীত পট্টনায়েক এবং প্রাক্তন কাউন্সিলার দিলীপ মাইতির নাম ডিরেক্টর পদের জন্য হাওয়ায় ভাসছে।
তৃণমূলের প্যানেলে জায়গা না পাওয়া শ্যামাশিস মিশ্র, নির্দল চিন্তামনি মণ্ডল-সহ অনেকেই রয়েছেন। ডিরেক্টরদের তালিকায় নামে পিছিয়ে নেই অনারাও পাঁশকুড়া পুর-প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন নন্দ মিশ্র, প্রাক্তন তমলুক শহর সভাপতি তথা প্রাক্তন ডিরেক্টর দিব্যেন্দু রায়। প্রাক্তন দুই বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য ও রণজিৎ মণ্ডল এবং জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানব পড়ুয়া।
এগরায় একটি মাত্র ডিরেক্টর পদে স্থানীয় বিধায়ক তরুণকুমার মাইতি, শহর সভাপতি উদয়শঙ্কর পাল প্রমুখ লড়াইয়ে আছেন। মঙ্গলামাড়ো কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ মৃণালকান্তি দাস, রামনগর কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত ব্যবসায়ী মীর মোমরেজ আলি প্রমুখ ডিরেক্টর হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে।
বিজেপি বিধায়ক অরূপ দাস বলেন, “ডিএম ও উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বসে থাকলেন। যে শলা পরামর্শ করার দরকার, তিনি করেছেন। কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ২০০ বেশি মানুষ হাতে ভুয়ো পরিচয়পত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।”
মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় বিরোধীরা। সমবায়েও কেন্দ্রীয় বাহিনী দ্বারাই ভোট হয়েছে। মানুষ ভোট দিয়েছে। তারপরও ওরা মেনে নিতে পারছে না।”