Kanthi: শীতের ভোরে মানুষের কথা শুনতে গ্রামে হাজির ‘দিদির দূত’

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jan 11, 2023 | 1:48 PM

Kanthi: বুধবার সকালে এগরা ১ ব্লকের বরিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের সংযোগ কর্মসূচিতে গেলেন এগরা বিধায়ক তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি।

Kanthi: শীতের ভোরে মানুষের কথা শুনতে গ্রামে হাজির দিদির দূত
গ্রামে পৌঁছলেন দিদির দূত (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

কাঁথি: ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে আগে নতুন ভাবে জনসংযোগ করতে গ্রামে গ্রামে হাজির ঘাসফুল নেতারা। প্রবল শীতে সাত সকালে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি পালন করতে এলেন এগরা বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি।সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে কর্মসূচি পালনে মাঠে-ময়দানে নেমে পড়ছেন তাঁরা।

বুধবার সকালে এগরা ১ ব্লকের বরিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের সংযোগ কর্মসূচিতে গেলেন এগরা বিধায়ক তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি। এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ প্রথমে বরিদা গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি মহাদেব মন্দিরে পুজো দেন। তারপর গ্রামের বাসিন্দাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা খোঁজ খবর নেন বিধায়ক।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি বলেন “গত ২ রা জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন ‘দিদি সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি পালনের জন্য নির্দেশ দিয়ে ছিলেন। প্রথম পর্যায়ে এই কর্মসূচি শুরু করলাম। এই কর্মসূচি দু’টি পর্বে চলবে। প্রথমে জেলা পরিষদের সভাপতির, সাংসদ ও বিধায়ক যাবেন। তারা তৃণমূল কর্মী বাড়ীতে রাত্রি যাপন করবেন। এরকম করে ৭ দফা কর্মসূচি পালন হবে।”

উল্লেখ্য, আজ থেকে শুরু হয়েছে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি। কর্মসূচিতে প্রত্যন্ত গ্রামের অঞ্চলে পৌঁছে যাবেন ‘দিদির দূত’রা। গ্রামে-গ্রামে ঘুরে শুনবেন মানুষের কথা। মানুষ যা পেয়েছেন সেটা যেমন লেখা হবে, তেমন না পাওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।তৈরি করা হবে লিস্ট। দলের কর্মীর বাড়িতে তাঁদের সঙ্গে ভাগ করে খেতে হবে রাতের খাবার।

ত ২ জানুয়ারি নজরুল মঞ্চে ‘দিদির দূত’-এর ঘোষণা করে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দিদির দূত হিসাবে কাজ করবেন প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ ভলান্টিয়ার। তাঁরা মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন। এই কর্মসূচির ২টো পর্যায়। প্রথম পর্যায়ে, প্রত্যেক সাংসদ, বিধায়ক, সভাধিপতি, জেলা প্রেসিডেন্ট, জেলা চেয়ারম্যান, দলীয় মুখপাত্ররা ৩২০ জনের টিম তৈরি হয়েছে। তাঁরা জানুয়ারির ১১ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারি ২৮ অবধি ১০ রাত করে গ্রামে থাকবেন। বাংলায় সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৩৪৩ অঞ্চল রয়েছে। ১ জন ১০টা অঞ্চলে রাতে থাকেন, তবে ৩২০ জনের হিসাবে ৩ হাজার ২০০ অঞ্চলে রাত কাটানো যাবে। ৯৮ শতাংশ অঞ্চলই ঘোরা হবে।

Next Article