Khejuri weather Update: ভয়াবহ খেজুরি! জলমগ্ন একাধিক গ্রাম, ভেসে গেল বাড়ির ছাদও, দুর্দশায় গ্রামবাসী
Purba Medinipur: ইতিমধ্যে জলমগ্ন খেজুরির প্রায় শতাধিক গ্রাম। উড়ে গিয়েছে বিভিন্ন বাড়ির ছাদ। জলবন্দি রয়েছেন প্রচুর গ্রামবাসী। গৃহহীন অনেক পরিবার।
খেজুরি (পূর্ব মেদিনীপুর): পূর্বাভাস ছিল পূর্বেই। যার জেরে ইতিমধ্যেই দিঘা হয়ে স্থলভাগে ঢুকে পড়েছে অতি গভীর নিম্নচাপ। আর তার জেরে বৃহস্পতিবার রাত্রিবেলা থেকেই দিঘা ও সংলগ্ন সমুদ্র উপকূলজুড়ে চলছে লাগাতার বৃষ্টিপাত। শুক্রবার গোটাদিন কখনও মুষলধারে কখনও আবার বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, খেজুরিতে। ফলত, ভয়াবহ অবস্থা সেখানে।
ইতিমধ্যে জলমগ্ন খেজুরির প্রায় শতাধিক গ্রাম। ভেসে গিয়েছে একাধিক বাড়ির ছাদ। জলবন্দি রয়েছেন প্রচুর গ্রামবাসী। গৃহহীন অনেক পরিবার। জানা গিয়েছে, শুক্রবারের পর শনিবার খেজুরির পাচুরিয়া, নোনাপোতা, নিচকশবা সহ বিস্তীর্ণ গ্রামে ঢুকে পড়েছে সমুদ্রের জল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক চাষের জমি। খেজুরি সমুদ্র লাগোয়া বেশ কয়েকটি গ্রাম এখনও জলমগ্ন রয়েছে। প্রচুর বাড়ি ডুবে রয়েছে জলের তলায়। ভেঙে পড়েছে মাটির বাড়ি।
এ দিন, সকাল থেকে অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে খেজুরি সহ বিস্তর্ণ এলাকায়। সমুদ্রের জল ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে। এলাকাবাসীর অবস্থা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে যান স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সমুদ্ভব দাস। যদিও, এই এত কঠিন পরিস্থিতিও কোনও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে দেখা যায়নি বলে সিপিএম-এর অভিযোগ।
অপরদিকে, বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের জেরে টানা দু’দিন ভারী বর্ষণের ফলে কার্যত বিপর্যস্ত পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। পূর্ব মেদিনীপুরে লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সৈকত নগরী দিঘা, মন্দারমণি ও তাজপুর সহ পর্যটন কেন্দ্র সমুদ্র স্নান ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফেরানো হয়েছে মৎস্যজীবীদের। লাগাতার চলছে মাইকিং।
খেজুরি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সমুদ্ভব দাস ফোনে জানান, “একটানা বৃষ্টিতে খেজুরি বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শনিবার সকালে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম।এলাকার বিপর্যস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামী দিনের সব রকমের সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার হবে দুর্গতদের।”
যদিও খেজুরির সিপিএম নেতা হিমাংশু দাসের দাবি, “পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ দিকে এগোচ্ছে। কয়েক শতাধিক বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে।অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীকে কোথাও দেখতে পাচ্ছি না। প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই।”