BJP: ভোটের আগেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার পদ্ম শিবির, খেজুরিতে গ্রেফতার ৪
Khejuri: নিজকসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মৌসুমী মণ্ডলের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে খেজুরি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উদয়শঙ্কর মাইতি, স্থানীয় সুন্দরপুর সংসদের বিজেপি সদস্যের স্বামী সুভাষ মণ্ডল এবং অপর বিজেপি নেতা মোহন প্রামাণিককে।

খেজুরি: ভোট এগোতেই শাসক-বিরোধী তরজা ক্রমেই চড়ছে। এরইমধ্যে এবার পদ্ম শিবিরের অন্দরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া। তীব্র অসন্তোষ। মাথা ফাটল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের। পুলিশের হাতে গ্রেফতার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ ৪। ধৃতদের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ কাঁথি আদালতের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার আবহ এলাকায়। স্থানীয় স্তরে ক্ষমতা দখলের লড়াই থেকেই মূল ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা যাচ্ছে। শেষে তা এমন পর্যায়ে পৌঁছাল যে ছুটে আসতে হল পুলিশকে।
সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন ধরেই চলছিল হাতাহাতি। তাতেই তরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল এলাকায়। পরপর ৩টি অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মোট ৮ জন বিজেপি নেতা ও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা করে তালপাটিঘাট কোস্টাল থানার পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। শেষ পর্যন্ত দু’টি মামলায় শুক্রবার রাতে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
নিজকসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মৌসুমী মণ্ডলের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে খেজুরি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উদয়শঙ্কর মাইতি, স্থানীয় সুন্দরপুর সংসদের বিজেপি সদস্যের স্বামী সুভাষ মণ্ডল এবং অপর বিজেপি নেতা মোহন প্রামাণিককে। এই ৩ জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার-সহ একাধিক গুরুতর ধারায় কেস হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া সৌরভ সরকার নামের এক বিজেপি নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে স্থানীয় এসসি- ৪ মণ্ডল বিজেপির সভাপতি সূর্যকান্ত দাসকে। তাঁর বিরুদ্ধেও হত্যার চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
শনিবার ধৃত ৪ জনকেই কাঁথি আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্য একটি মামলা করেছেন বিজেপি নেতা খোকন পাত্র। পুলিশ ওই মামলার বাকি ৪ জন অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে। এ বিষয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক পবিত্র দাস বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। মদ্যপ অবস্থায় এই কাজ হয়েছে। দলের প্রধানের উপর হামলা মানা যায় না।”
এই বিষয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক। তীব্র কটাক্ষের সুরেই তিনি বলেন, “এটা বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব। এখন সেই সবই সামনে আসছে। ওদের বিষয়ে নিয়ে আমাদের মাথা ব্যাথা নেই। এই উদয় বিজেপি থেকে তৃণমূলে এসেছিল। আবার বিজেপিতে ফিরেছে।”
