Haldia Port: স্তব্ধ হয়ে গেল হলদিয়া বন্দর, আটকে একাধিক জাহাজ, বিপুল ক্ষতির মুখে রাজ্য
Haldia Port: ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর। জেলা বাম নেতৃত্ব আবার কর্তৃপক্ষের উপরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বাম নেতা পরিতোষ পট্টনায়ক বলেন, শ্রমিকদের টাকা অনৈতিকভাবে কেটে নেওয়া হচ্ছে। হলদিয়াতে শ্রমিক শোষন চলছে।
হলদিয়া: পিএফের টাকা টাকা নিয়ে সমস্যা। মঙ্গলবার দিনভর শ্রমিক বিক্ষোভে উত্তাল হয় হলদিয়া বন্দর। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হলেও মেলেনি কোনও রফা সূত্র। বুধবার সকাল থেকেও দেখা গেল একই ছবি। উল্টে আরও বাড়ল বিক্ষোভের তীব্রতা। একসঙ্গে কর্মবিরতি শুরু ২৫০০ শ্রমিকের। তাতেই পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গেল হলদিয়া বন্দর। ফিরে গেল বন্দরমুখী জাহাজ। লাগাতার বিক্ষোভের জেরে অচলাবস্থা গোটা বন্দর চত্বরে। বিক্ষোভের জেরে বড়সড় আর্থিক ক্ষতি ইতিমধ্য়েই হয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (ট্রাফিক) অভয়কুমার মহাপাত্র। আন্দোলন না থামলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
অভয়কুমার মহাপাত্র জানাচ্ছেন, বন্দরে একটি জাহাজে ১৬০০টন পণ্য খালাস বাকি ছিল। কিন্তু, তার সেলিং বাতিল হয়ে গিয়েছে। একাধিক বার্থে জাহাজ থেকে পণ্য নামানো হলেও বার্থ থেকে পণ্য সরানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ড্রাইভাররা কাজ করেনি বলেই এই অবস্থা। চাপ বাড়ছে বিদেশি জাহাজগুলির ক্ষেত্রে। কর্তৃপক্ষ সাফ জনাচ্ছে, এই ঘটনার জন্য দ্রুত কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এক হ্যান্ডেলিং এজেন্টকে শোকজ করা হতে পারেও বলে শোনা যাচ্ছে।
ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর। জেলা বাম নেতৃত্ব আবার কর্তৃপক্ষের উপরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বাম নেতা পরিতোষ পট্টনায়ক বলেন, শ্রমিকদের টাকা অনৈতিকভাবে কেটে নেওয়া হচ্ছে। হলদিয়াতে শ্রমিক শোষন চলছে। অন্যদিকে ভারতীয় মজদুর সংঘের রাজ্য সহ সভাপতি প্রদীপ বিজলি বলছেন, আলোচনার মাধ্য়মেই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। তবে হলদিয়া বন্দের গরিমা বজায় থাকবে।