Bankura: মেশিন রয়েছে, রয়েছেন টেকনিশিয়ানও! তবুও ২ বছর ধরে বন্ধ হাসপাতালে রোগীদের এক্স রে! জানেন কেন?
Bankura: কিন্তু বছর দুয়েক আগে সেই যন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে। নতুন এক্স রে যন্ত্র বসানো তো দূরের কথা পুরানো যন্ত্র মেরামতির ব্যাপারেও সেভাবে উদ্যোগ নেয়নি স্বাস্থ্য দফতর। ফলে গত দুবছর ধরে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অগত্যা ভরসা করতে হয় বেসরকারি পরিষেবার উপর।
বাঁকুড়া: হাসপাতালে এক্স রে যন্ত্র রয়েছে। রয়েছে টেকনিশিয়ানও। কিন্তু এক্স রে যন্ত্রে সামান্য মেরামতির অভাবে প্রায় দুবছর ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে পরিসেবা। অগত্যা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বাধ্য হয়ে বেসরকারি পরিষেবার উপর ভরসা করতে হয় রোগী ও রোগীর পরিজনদের।
বাঁকুড়ার তালডাংড়া ব্লকের ৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা তো বটেই এমনকি পার্শ্ববর্তী ওন্দা, সিমলাপাল, ইন্দপুর ও বিষ্ণুপুর ব্লকের একাংশের মানুষ স্বাস্থ্যের ব্যাপারে নির্ভরশীল তালডাংড়া গ্রামীণ হাসপাতালের উপর। হাসপাতালে আউটডোর পরিসেবার পাশাপাশি রয়েছে ইনডোর পরিষেবাও। চিকিৎসার প্রয়োজনে হামেশাই রোগীদের এক্স রে করানোর প্রয়োজন পড়ে। একসময় রোগীদের এক্স রে করানো হত হাসপাতালের নিজস্ব এক্স রে যন্ত্রে।
কিন্তু বছর দুয়েক আগে সেই যন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে। নতুন এক্স রে যন্ত্র বসানো তো দূরের কথা পুরানো যন্ত্র মেরামতির ব্যাপারেও সেভাবে উদ্যোগ নেয়নি স্বাস্থ্য দফতর। ফলে গত দুবছর ধরে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অগত্যা ভরসা করতে হয় বেসরকারি পরিষেবার উপর। অনেককে শুধুমাত্র এক্স রে করাতে নিয়ে যেতে হয় প্রায় ৩০ কিমি দূরের বাঁকুড়া শহরে।
রোগী ও রোগীর পরিজনদের দাবি, এক্স রে যন্ত্রে সামান্য মেরামতি করলেই যেখানে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব সেখানে নির্বিকার স্বাস্থ্য দফতর। ফলে দিনের পর দিন চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিষয়টি নিয়ে বারেবারে স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হলেও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এখনও কোনও নির্দেশ না আসাতেই ওই পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।