Haldia Municipality: টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ, শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের অফিসে তল্লাশি

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 08, 2022 | 12:40 PM

Haldia Municipality: ২০২১ সালের অগস্টে টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে হলদিয়ার ভবানীপুর থানায় শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে এফআইআর করে তৎকালীন পুরবোর্ড।

Haldia Municipality: টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ, শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের অফিসে তল্লাশি
শ্যামল আদক (ফাইল ছবি)

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: কাঁথির পাশাপাশি শিল্প শহর হলদিয়াতেও দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চলে তল্লাশি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা তথা হলদিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদকের অফিসে চলে তল্লাশি। তাঁর অফিসও সিল করে দেওয়া হয়। গত ১৬ অগস্ট দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় রাজের নগর পুর নগর উন্নয়ন দফতর। তার ভিত্তিতে শুক্রবার দিনভর তদন্ত চালাল পুলিশ। শুক্রবার কাঁথি পুরসভার দুর্নীতির তদন্তের পাশাপাশি হলদিয়া পুরসভাতেও দিনভর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদকের সময়কার নথিও সংগ্রহ করল পুলিশ। শ্যামলের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের অগস্টে টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে হলদিয়ার ভবানীপুর থানায় শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে এফআইআর করে তৎকালীন পুরবোর্ড। সেই মামলায় ফের নতুন করে এদিন তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এদিন হলদিয়ার পুরসভায় পুরনো নথি সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন হলদিয়ার এসডিপিও রাহুল পাণ্ডে, মহকুমাশাসক তথা পুর প্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়,মহকুমার বিভিন্ন থানার ওসি, পুলিশ আধিকারিকরা। শ্যামলের সময়কার বিভিন্ন ফাইল সংগ্রহ করেন পুলিশ আধিকারিকরা যদিও তদন্তের স্বার্থে কোনও কিছুই বলতে চাননি আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত কয়েক দিন আগেই শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্য়ামল আদকের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।  সূত্রের খবর, হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন আইএনটিটিইউসি-র অফিস ‘বন্দর শ্রমিক ভবন’-এ বসে বন্দর সংক্রান্ত কাজকর্ম করতেন শ্যামল। চেয়ারম্যান থাকাকালীন নিজের আত্মীয়ের সংস্থাকে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছিলেন শ্যামল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শ্যামলের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় এফআইআর দায়ের হয়। তার ভিত্তিতেই চলে তল্লাশি। শ্যামল কাদের সঙ্গে ওঠাবসা করতেন, তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তদন্তকারীরা।

এ প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের বাংলায় সমস্ত অরাজকতা। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। নীতিভ্রষ্ট দল থেকে যখন কেউ আলাদা হয়ে যাচ্ছে, তখন প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। শাসকদলেরই কুকীর্তি ফাঁস হচ্ছে। ”

তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। কেউ তো কাউকে মিথ্যা মামলায় জড়াতে পারে না। কারোর বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত হয়, যদি তিনি কোনও অপরাধ না করে থাকেন, তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”

Next Article