চণ্ডীপুর (পূর্ব মেদিনীপুর): কাঁথি পুরসভার দুই বারের পুরপ্রধান ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। শুক্রবার প্রায় ১০ ঘণ্টা সৌমেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। কাঁথি শহরে পথবাতি বসানোর কাজে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই সংক্রান্ত বিষয়েই ডেকে পাঠানো হয়েছিল সৌমেন্দুকে। আর এই বিষয়টি মোটেই ভালভাবে দেখছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, “বিজেপি এবং বিরোধীদের দমিয়ে রাখার জন্য এখানকার পুলিশকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের যেটা কাজ, সেটা কেউ করে না। পুজোর মধ্যে সৌমেন্দু অধিকারীকে ডাকতে হবে। কোর্টে এজি দাঁড়িয়ে বলেছেন ২ ঘণ্টার বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করবে না। ১০ ঘণ্টা বসিয়ে রাখল।”
যদিও শুভেন্দু অধিকারী সঙ্গে এও বলেন, “১০ ঘণ্টা কেন? ২০০ ঘণ্টাও বসিয়ে রাখতে পারে। তাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু করতে পারবে না। বেআইনি কাজ করেছে। কোর্টে কেমন কানমলা খায় দেখবেন।” পাশাপাশি অধিকারী পরিবারের অতীত ইতিহাসও স্মরণ করিয়ে দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, “আমি বড় শক্ত জিনিস আছি। স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিল না ওদের বাড়িতে। আমার বাড়ির বিপিন অধিকারী ৮ বছর ব্রিটিশের জেলে ছিলেন। আমরা এগুলিকে ভয় পাই না। ব্রিটিশের পুলিশকে অধিকারী পরিবার ভয় পায়নি। মানশাঙ্কিবাড় গ্রামে তিনবার ব্রিটিশ পুলিশ আমাদের বাড়ি পুড়িয়েছে ১৯৪৭ সালের আগে। ব্রিটিশ পুলিশকে আমরা ভয় পাইনি, এরা তো তুচ্ছ।”
বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, “এরা কিছু করতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেন্দু অধিকারী সবটাই সুদে-আসলে ফেরত দেবে।” এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর বিধানসভার দিবাকরপুরে দক্ষিণ পশ্চিমপল্লীতে গ্রামীণ দেবী কালীমাতার পুজোর উদ্বোধন করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে নন্দীগ্রামের মানিকপুরে অভিজ্ঞান বেরার ছবিতে মালা দিতে যান তিনি। মৃত অভিজ্ঞান বেরার পরিবারের লোকেদের সমবেদনা জানান শুভেন্দু। তাঁদের পাশে থাকার বার্তাও দেন। এর পাশাপাশি রাজ্যের শাসক শিবিরকেও এদিন এক হাত নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।