Health Camp: বন্যাবিধ্বস্ত পাঁশকুড়ায় কিঞ্জল-অনিকেতদের স্বাস্থ্যশিবির, লম্বা লাইন দিনভর
Junior Doctor: রবিবার পাঁশকুড়ার বন্যা কবলিত এলাকায় স্বাস্থ্যশিবির করেন ডাক্তাররা। শনিবার থেকেই বন্যা বিধ্বস্ত বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ, খাবার, ওষুধ নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যশিবিরও খোলা হয়েছে। সকাল থেকেই সেখানে লম্বা লাইন।
পূর্ব মেদিনীপুর: ১১ দিন ধরে স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধরনায় বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ছিলেন কর্মবিরতিতে। তবে ধরনা তোলার পরই বলেছিলেন, আমজনতা এতদিন তাঁদের পাশে থেকেছেন। এবার তাঁরা যাবেন দুর্গতদের পাশে। সেই কথা মতোই চলছে কাজ। আরজিকর হাসপাতালের ৪০ জন চিকিৎসক দু’টি ভাগে ভাগ হয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বন্যাকবলিত পাঁশকুড়ায় দিলেন চিকিৎসা পরিষেবা। কিঞ্জল নন্দ, অনিকেত মাহাতোরা এদিন গলায় স্টেথো ঝুলিয়ে দেখলেন রোগী।
রবিবার পাঁশকুড়ার বন্যা কবলিত এলাকায় স্বাস্থ্যশিবির করেন ডাক্তাররা। শনিবার থেকেই বন্যা বিধ্বস্ত বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ, খাবার, ওষুধ নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যশিবিরও খোলা হয়েছে। সকাল থেকেই সেখানে লম্বা লাইন।
পাঁশকুড়ার কনকপুরে স্বাস্থ্যশিবিরে গিয়েছিলেন কিঞ্জল নন্দ। তিনি বলেন, “মানুষ আমাদের পাশে আন্দোলনের দিনগুলো যেভাবে থেকেছেন, আমাদেরও মনে হয়েছে দুর্গতদের পাশে এসে দাঁড়ানো কর্তব্য। আমরাও ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার ফোরামের তরফে রিলিফ ক্যাম্প করছি। আন্দোলন যেমন চলছিল, চলছে। অবস্থান বিক্ষোভ তুলেছি।”
বন্যা কবলিত মানুষের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশন লিখে ওষুধও তুলে দিয়েছেন এই জুনিয়র ডাক্তাররা। পাঁশকুড়া পুরসভার কনকপুর মক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হয় এই ক্যাম্প। অন্যদিকে গড় পুরুষোত্তমপুর ইউথ কর্নার ক্লাবেও স্বাস্থ্য শিবির খোলা হয়।