দিঘা : আবহাওয়ায় বর্ষার প্রভাব এখনও অনুভূত হচ্ছে না। তাপপ্রবাহে পুড়ছে বাংলা। তার মধ্যে বাজারে ইলিশের সম্ভার যেন খানিক আনন্দ দিল। ঝাঁকে ঝাঁকে না উঠলেও দিঘার বাজারে শুক্রবারই চোখে পড়ল মরশুমের প্রথম ‘রূপোলি ফসল’ ইলিশ। দীর্ঘ দুমাস ইলিশ মাছ তোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই সময় কাটিয়ে ৩০০০ হাজারের বেশি ট্রলার সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছে। এখনও ফেরেনি সবগুলি। বিগত কয়েক বছরের ইলিশের আকাল এবার কাটবে কি! সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে ইলিশ-প্রেমী বাঙালি।
শুক্রবার সকালে প্রথমবার ইলিশের দেখা মিলেছে দিঘা মোহনার বাজারে। তবে মাছের সংখ্যা খুবই কম। ৬১ দিনের ‘ব্যান পিরিয়ড’ শেষে বুধবার শেষরাতে সমুদ্রে মৎস্য শিকারে বেরিয়ে পড়েছে প্রায় ৩ হাজার লঞ্চ-ট্রলার। গভীর সমুদ্র থেকে সেগুলি ফিরতে আরও দিন কয়েক সময় লাগবে। তবে অগভীর সমুদ্রেও জাল ফেলেছে কিছু ছোট নৌকা।
বৃহস্পতিবার জালে পড়েছে কিছু ইলিশ, পমফ্রেট, চিংড়ি, ভোলা ইত্যাদি। কিছু আড়তে ইলিশের দেখা মিলেছে, তবে সেই সংখ্যা একেবারেই কম। এক একটির ওজন এক কেজির বেশি নয়। আর দাম? চমকে দেওয়ার মতো। কেজি প্রতি হাজারের বেশি দামে বিকিয়েছে ইলিশ। মধ্যবিত্ত বাঙালির পক্ষে যা একটু বিলাসিতার। তবুও মরশুমের প্রথম ইলিশ যেন চোখে শান্তি দিচ্ছে বাঙালিকে।
মূলত ইলিশের ঝাঁক ওঠে বৃষ্টি আর পূবালি হাওয়ার যুগলবন্দিতে। সেই আবহাওয়া এখনও তৈরি হয়নি দিঘায়। সে কারণেই মাছের সংখ্যা কম। দ্রুত আবহাওয়া অনুকূল হলেই ইলিশ উঠতে থাকবে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা।