ইয়াস বিধ্বস্ত মন্দারমণি-তাজপুরে গজিয়ে উঠছে অবৈধ নির্মাণ, নিশ্চুপ প্রশাসন!

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Jul 16, 2021 | 6:56 PM

Mandarmani and Tajpur: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yaas) বিধ্বস্ত পূর্ব মেদিনীপুর সফরে এসে মন্দারমণি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শোনা গিয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Bannerjee)।

ইয়াস বিধ্বস্ত মন্দারমণি-তাজপুরে গজিয়ে উঠছে অবৈধ নির্মাণ, নিশ্চুপ প্রশাসন!
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yaas) বিধ্বস্ত পূর্ব মেদিনীপুর সফরে এসে মন্দারমণি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শোনা গিয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Bannerjee)। বলেছিলেন মন্দারমনিতে হোটেলগুলো পর পর সমুদ্রে দিকে এগিয়ে চলেছে কেন? সেই মন্দারমণিতেই লকডাউনের মধ্যে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে একের পর এক অবৈধ নির্মাণ তৈরির অভিযোগ উঠল। শুধু মন্দারমণিই নয়, একই অবস্থা তাজপুরেও।

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও প্রবল সামুদ্রিক জলচ্ছ্বাসে তাজপুর থেকে শঙ্করপুর পর্যন্ত সমুদ্র উপকূল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দিঘা সহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু ইয়াসের ক্ষত সারতে না সারতেই সিআরজেড এলাকার মধ্যে অবৈধ নির্মানের অভিযোগ উঠল।

স্থানীয়দের অভিযোগ, তাজপুর সৈকতের খুব কাছে কোস্টাল রেগুলেশান জোনের ২০০ মিটারের মধ্যেই এই হোটেল নির্মাণের কাজ চলছে। সম্প্রতি পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন তাজপুরে এসে পরিবেশ বাঁচিয়ে পর্যটনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সে সবকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক হোটেল গজিয়ে উঠছে বলে অভিযোগ।

এ নিয়ে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক মানস কুমার মণ্ডল মেনে নেন অবৈধ ভাবে হোটেল তৈরির খবর এসেছে। তাদের নজরে এসেছে বিষয়টি। আইন মেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনওভাবে অবৈধ নির্মাণ বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

উল্লেখ্য, তাজপুর শঙ্করপুর এলাকায় এ ধরনের নির্মাণের অনুমতি দিয়ে থাকে রামনগর ১ ব্লক। এই হোটেল নির্মাণের জন্য ব্লক প্রশাসনের কোনওরকম অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বিডিও বিষ্ণুপদ রায়। তিনি জানান, অবৈধ ভাবে যদি এই নির্মাণ হয় তা হলে আইনি ব্যবস্থা মেনেই তা ভেঙে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। যদিও সব থেকে বেশি মন্দারমণিতেই চলছে নির্মাণের কাজ। এতদিন তা প্রশাসনের নজরে পড়ল না কেন, সে প্রশ্ন উঠছেই।

মুখ্যমন্ত্রী ইয়াস পরবর্তী সময়ে জেলা সফরে এসে মন্দারমণি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, এখানকার হোটেল গুলি পর পর সমুদ্রে দিকে এগিয়ে চলেছে কেন? তাই মন্দারমনিতে ক্ষতি বেশি হয়েছে।

কিন্তু মন্দারমণি হোটেল অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক দেব দুলাল দাস মহাপাত্রের দাবি ভিন্ন। তাঁর দাবি, সমুদ্রের সামনে হোটেলগুলি আছে বলেই মন্দারমণির সাধারণ বাসিন্দারা বিপুল ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন। আর সিআরজেড আইন বলে এখন কিছু নেই (কোস্টাল রেগুলেশান জোন)। কেন্দ্রীয় সরকার এই আইন তুলে দিয়েছে। অবৈধভাবেও কোনও নির্মাণ হচ্ছে না। আরও পড়ুন: ‘লোকাল ট্রেন চালাতে পারে না, উপনির্বাচন চাইছে!’ মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

Next Article