পূর্ব মেদিনীপুর: জম্বু কাশ্মীরে কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ানের। দুর্ঘটনায় মৃত্যু জওয়ানের।
সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের পাহাড়ি রাস্তায় কর্তব্যরত অবস্থায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ৪২ নম্বর ব্যাটেলিয়ান স্টাফের ৪ প্রতিনিধি একটি সিআরপিএফের গাড়ি। সূত্রের খবর, পাহাড়ের রাস্তা দিয়ে ওঠার সময় দুর্ঘটনার ফলে ছিটকে খাদে পড়ে যায় সিআরপিএফের ওই গাড়িটি।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪২ নম্বর ব্যাটেলিয়ান স্টাফের লাইনম্যান জাওয়ান ৩৬ বছরের নন্দ রানা। তাঁর বাড়ি তমলুক থানার হরিশঙ্কর গ্রামে । পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বাকি তিন সিআরপিএফ জওয়ানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরা সিআরপিএফ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন । মর্মান্তিক খবর শোনার পর তমলুকের ওই জওয়ানের পরিবার-সহ পুর গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই দুর্ঘটনার কবলে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে খাদে পড়েই। প্রত্যেকেই বাঙালি। কিন্তু সেই মৃত্যুর কারণ পাহাড়ি বিপদ নয়, বরং চালকের গাফিলতি। অন্তত খবর এমনটাই। UK04PA 1376 ও UKPA1755-এই দুই নম্বরের দুটি ট্যাম্পো ট্রাভেরা গাড়ি পরপর পাহাড়ের রাস্তার বেয়ে মুরকোয়ারি থেকে কৌশানীর দিকে যাচ্ছিল। সেইসময় পেছনের গাড়িটি সামনের গাড়িটিকে ধাক্কা মারে। এরপরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছনের গাড়িটিই খাদে পড়ে যায়। ঘটনায় চালকের মৃত্যু না হলেও তিনি গুরুতর আহত হন। ওই গাড়িতেই থাকা মোট ১২ জন পর্যটকের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়। বাকি ৭ জন গুরুতর চোট পান। ওই সাতজনের মধ্যেই রয়েছেন কঙ্কন রায় ও পিন্টু রায়। মৃত পাঁচজনের মধ্যে ৩ জন মহিলা ও ২ জন পুরুষ ছিলেন। আহতদের বাগেশ্বর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই তাঁরা চিকিত্সাধীন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।
দুর্ঘটনাগ্রস্তদের পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁরা শুনেছেন বাঘেশ্বরের বিধায়ক বলবন্ত সিংহ হাসপাতালে গিয়েছেন। আহতদের সবরকমভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক। বাগেশ্বরের পুলিশ সুপার অমিত শ্রীবাস্তব জানান যে পাঁচজন মারা গিয়েছে তাঁরা সকলেই রানিগঞ্জ-আসানসোলের বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, গত মাসের বিপর্যয়েই উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত্যু হয় একের পর এক বাঙালির। নৈনিতাল থেকে কৌশানী যাওয়ার পথে ভওয়ালী নামে একটি জায়গায় আটকে পড়ে হুগলির একটি পরিবার।
আরও পড়ুন: Road Accident: পুলিশের ভ্যানে সজোরে ধাক্কা! গাড়ি গিয়ে পড়ল বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধারে