পূর্ব মেদিনীপুর: এবার আর শুধু শিক্ষিকা নয়। দশজন সহ মহিলা স্টাফের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। চিন্তায় অভিভাবক থেকে প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকরা।
গত ১৬ ই নভেম্বর স্কুল চালু হয়েছে। এবার কয়েক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়লেন পড়ুয়া থেকে স্টাফ। মহিষাদলের কাপাশ এড়িয়ার সিবিএসসি বোর্ড পরিচালিত জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে ঘটনা। গত শনিবার বিদ্যালয়ের স্টাফ ও আবাসিক পড়ুয়া মিলে মোট ২০৭ জনের করোনা টেস্ট করা হয়ছিল । তাতে দেখা যায় বিদ্যালয়ের একজন মহিলা স্টাফ ও ১০ জন ছাত্রীর রিপোর্ট করোনা পজিটিভ ।
পরে, জেলা প্রশাসনের সহায়তায় তাদের নিজেদের বাড়ি পাঠানো হয়েছে করোনা বিধি মেনেই। তবে বিদ্যালয়ের অন্যান্য সকলে সুস্থ রয়েছেন। একসঙ্গে এত সংখ্যক পড়ুয়া আক্রান্ত হওয়ায় নতুন করে চিন্তা বাড়াছে অভিভাবক থেকে বিদ্যালয়ের স্টাফদের মধ্যে।
তবে এই বিষয় নিয়ে বেশি চিন্তত হওয়ার কিছু নেই বলে জানান বিদ্যালয়ের ভারপ্রাত শিক্ষক সৌমেন মুখার্জি। তিনি জানান, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের পরামর্শ মতো সকলের চিকিৎসা পরিষেবা চলছে। এবং সকলেই সুস্থ রয়েছেন । আপাতত দশম ও দ্বাদশের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই দুটো ক্লাস চলবে । বাকি একাদশ ও নবমের ক্লাস আপাতত বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় জানান, ওই স্কুলে মোট দশজন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সমস্ত স্কুল চত্বর ক্লাসরুম জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে স্যানিটাইজ় করে দেওয়া হয়েছে। দশম ও দ্বাদশের ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা থাকায় কোভিডের সমস্ত গাইডলাইন্স মেনে ওই স্কুলে পরিক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । যারা পজেটিভ ছিল তাদের ইতিমধ্যেই চিকিৎসা চলছে । পরবর্তীতে জেলার অন্যান্য স্কুলগুলির দিকে নজর রাখা হয়েছে ।
শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, ইতিমধ্যে রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে এই একই রকম খবর পাওয়া গিয়েছ। আজই শ্রীরামপুরের একটি গার্লস হাইস্কুলের কয়েকজন শিক্ষিকা করোনা আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। ওই স্কুলের
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তাপসী পাল জানিয়েছেন, তাঁদের স্কুলের চারজন শিক্ষিকা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আরও কয়েকজন শিক্ষিকার করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় সবাইকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। স্কুলে প্রতিদিন স্যানিটাইজার স্প্রে করা হচ্ছে। আর ক্লাসের বেঞ্চ প্রতি মাত্র একজন করে ছাত্রী বসছে। তাছাড়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।