Kanthi Court: ফুল তুলতে গিয়ে মারধরে মৃত্যু, ২৩ বছর মামলার পর রায় কোর্টের
Kanthi Court: আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০০১ সালে ২৯ শে জানুয়ারি জমিতে ফুল তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ বাধে। তখনই প্রতিবেশী বিনয় বেরাকে ধারাল অস্ত্র আঘাত করে। স্ত্রী রেবা বেরা ও ভাই স্বপন বেরাকে মারধর করে। রক্তাক্ত ও জখম অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন থাকার পর বিনয় বেরার মৃত্যু হয়।

রামনগর: ফুল তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের অশান্তি। তার জেরে মারধর ও মৃত্যুর ঘটনার দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে চলেছিল মামলা। অবশেষে এই ঘটনায় ৮ জন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করল কাঁথি মহাকুমা আদালত। দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও বিচার পেতেই আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন অভিযোগকারী পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার ৮ জন অভিযুক্তকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪,৩২৫,৩২৩ ও ৩৪ ধারা অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত করে ফাস্ট ট্রাক ফাস্ট কোর্ট সেশান জজ সুরজিৎ শীল। অভিযুক্তরা হল রামনগরের মহম্মদপুর গ্রামের কৃষ্ণমোহন বেরা, রতন বেরা, নিখিল বেরা,উত্তম বেরা,কল্পনা বেরা, ভবেশ বেরা, বিশ্বজিৎ বেরা ও পুলিন বেরা। মঙ্গলবার কাঁথি আদালতের বিচারক সুরজিৎ শীল ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ নং ধারায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড , ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাস জেল ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৫ নং ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের জেল হাজতের নির্দেশ দেন। এই মামলায় সরকারি আইনজীবী ছিলেন মঞ্জুর রহমান খান। যদিও বিচার চলাকালীন পুলিন বেরা মৃত্যু হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০০১ সালে ২৯ শে জানুয়ারি জমিতে ফুল তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ বাধে। তখনই প্রতিবেশী বিনয় বেরাকে ধারাল অস্ত্র আঘাত করে। স্ত্রী রেবা বেরা ও ভাই স্বপন বেরাকে মারধর করে। রক্তাক্ত ও জখম অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন থাকার পর বিনয় বেরার মৃত্যু হয়। এরপর মৃত বিনয় বেরা স্ত্রী রেবা বেরা রামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে রামনগর থানার পুলিশ। তদন্ত করে আদালতে চার্চশিট জমা দেওয়া হয়। এরপর কাঁথি আদালতের বিচারক ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
এই মামলায় সরকারি আইনজীবী মঞ্জুর রহমান খান বলেন, “জমি জমা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মামলা দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হলেও সুবিচার পেল। দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে। আইনের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়লো।”
দীর্ঘদিন পর আদালতে বিচার পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মৃত ব্যক্তির স্ত্রী তথা অভিযোগকারী বেরা বেরা। তিনি বলেন, “দীর্ঘ ২৩ বছর পর যারা আমার স্বামীকে নৃশংস ভাবে মেরেছিল,তারা সাজা পেল। স্বামীর আত্মার শান্তি পেল৷ খুশি হলেও হারিয়ে গিয়েছে আমার স্বামী। আদালতের আইনজীবী থেকে বিচারককে ধন্যবাদ জানাবো।”





