কাঁথি: কাঁথি থেকে রসুলপুর হয়ে নন্দীগ্রাম যেতে চান? নদী পথেই চলে যাতায়াত। এই রাস্তাতেই এক সুতোয় গাঁথা পড়ে কাঁথি, খেঁজুরি, নন্দীগ্রাম থেকে হলদিয়া। কিন্তু, সেই সুতোই এখন ছেঁড়ার পথে। প্রতি পদে পদে ঝুঁকি। জেটিঘাট ডুবেছে সেই কবে। বর্ষা এলে তো আর রক্ষা নেই। এলাকার লোকজন বলছেন, উপায় নেই, তাই বিপদ মাথায় নিয়ে করতে হচ্ছে নদী পারাপার। সেই জমি আন্দোলনের সময় থেকেই এলাকায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল জলপথ। এলাকার বাসিন্দারা ভেবেছিলেন পালা বদলের পর হয়তো ছবিটা কিছুটা বদলাবে। কিন্তু সে গুড়ে বালি!
এলাকার লোকজন বলছেন, প্রতিশ্রুতি মিলেছে একটা পাকাপোক্ত যোগাযোগের মাধ্যম তৈরি করার। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবারের লোকসভা নির্বাচনের কিছু সময় আগে আচমকা ঝড়ে ডুবেছে জেটি। আর হয়নি সংস্কার। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ওই অবস্থাতেই চলছে যাতায়াত।
কাঁথির মহকুমা শাসক শৌভিক ভট্টাচার্য বলছেন, “আমরা সমগ্ৰ ঘটনা জানিয়েছি। আশা করি তারা খুব তাড়াতাড়ি এর সুরাহা হবে। গত জানুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জেটি ঘাটের দায়িত্ব রাজ্য পরিবহন দফতরকে দিয়েছে। কাঁথির রসুলপুর ঘাট, পেটুয়াঘাট, খেজুরির বোগা ও মসনদইওয়ালা ঘাট সবগুলিই ট্রান্সপোর্ট দফতরের।”
অন্যদিকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলছেন, “এই সব ফেরিঘাট আমরা পরিচালনা করলেও। ফেরি সার্ভিস বিষয়টা দেখে রাজ্য পরিবহন দফতর। আমরা জেটি মেরামতির জন্য বরাদ্দ আনার ব্যবস্থা করছি। ওনাদের চিঠিও দিয়েছি। জেলা পরিষদও পাল্টা উত্তর দিয়েছে দফতরকে। এবার যা করার ওনারা করবেন।”