তমলুক: শনিবার দুপুরে তমুলক জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সংগঠনের সেতুবন্ধনের দায়িত্বে থাকা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। নন্দীগ্রামের সমবায় নির্বাচন ঘিরে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ উঠছে, ওই দুষ্কৃতীরা বিজেপি আশ্রিত। এদিন হাসপাতালে গিয়ে ওই তৃণমূল কর্মীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। দোষীদের গ্রেফতারি ও কঠোর শাস্তির দাবি জানালেন তিনি।
কুণাল ঘোষ বললেন, “নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে গতকাল( শুক্রবার) যে সমবায় সমিতির নির্বাচন ছিল, সেখানে বিপুল জয় পেয়েছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। ১২-০ ফলাফল হয়েছে। নন্দীগ্রামে তো বিজেপির পায়ের তলার জমি সরছে। তাই হার নিশ্চিত জেনে বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে হিংস্র হাঙ্গামা, হামলা করেছে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপির লোকজন। আমাদের প্রায় ১২-১৪ জন আহত। কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরও কয়েকজন রয়েছেন গুরুতর জখম।”
এর পাশাপাশি গতকাল বিজেপি-সিপিএম মিছিল নিয়েও এদিন খোঁচা দিতে ছাড়েননি কুণাল ঘোষ। বললেন, “বিজেপির মিছিলে এখন সিপিএম। মহম্মদ সেলিম এখন বিজেপির বড় এজেন্ট। বিজেপির দুই ভাই – সিপিএম আর কংগ্রেস। যেখানে বিজেপি ঢুকতে পারছে না, সেলিমের পার্টিকে পাঠিয়ে দিচ্ছে… বলছে ভোটটা ভাগ করো, মানুষকে ভুল বোঝাও। বিজেপির দালাল। নাহলে একসঙ্গে সিপিএম-বিজেপির মিছিল? এটাই হল সিপিএমের আসল চেহারা। মিছিল করছে একসঙ্গে, নিজেদের দম নেই। সিপিএম বিজেপি হাতে হাত মিলিয়ে এক পতাকা নিয়ে মিছিল করছে।”
মিছিল নিয়ে হুগলি জেলা সিপিআইএমের সম্পাদক দেবব্রত ঘোষের বক্তব্য, “ওখানে সিপিআইএমের কেউ যোগ দেননি। যাঁরা আমাদের শেষ করতে চায়, তাঁদের সঙ্গে আন্দোলন! ওখানে আমাদের কেউ ছিল না। ওই রাস্তায় লাল ঝাণ্ডা ছিল। মানুষ তা নিয়ে লড়াই করছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি তো তৃণমূলের সহযোগী। সেই বিজেপি চালাকি করেছে। রাস্তার পাশে আমাদের যে পতাকা লাগানো ছিল, সে গুলো খুলে মিছিল করে দেখাতে চেয়েছ যে সিপিআইএমের কর্মীরা মিছিলে ছিল।”
কুণাল ঘোষ এদিন সিপিএম রাজ্য সম্পাদককে খোঁচা দিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তার পাল্টা সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য হিমাংশু দাস বলেন, “ওর মতো জেল খাটা একজন আসামী। সারদা-নারদা কাণ্ডে যার বড় ভূমিকা ছিল, তিনি এখন জেলের বাইরে আছেন, তাই এসব বকছেন। ও কার এজেন্ট? ওরা তো নিজেরাই বিজেপির এজেন্ট। গা গরম করা কথা বলছে।”
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, “এর কী উত্তর দেব? মাথাটা খারাপ হয়ে গেলে দুর্গন্ধ বেরোয়। কে কার দালাল, কে কার হয়ে কাজ করছে, তা সাধারণ মানুষ দেখছে। আমাদের লড়াই তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ের বিরুদ্ধে।”