তমলুক: সমবায় নির্বাচন ঘিরে শুক্রবার তপ্ত হয়েছিল নন্দীগ্রাম (Nandigram)। তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন কর্মী ও সমর্থক। শনিবার কুণাল ঘোষ গিয়েছিলেন তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি থাকা তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে। অন্যদিকে বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়ে ভর্তি রয়েছেন তমলুকের এক বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে শনিবার ওই বেসরকারি হাসপাতালে যান নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হাসপাতালে ভর্তি বিজেপি কর্মীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন শুভেন্দু। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
নার্সিংহোমে থেকে বেরিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা শান্তি বাহিনী আছে। যেখানে শান্তি বাহিনী থাকবে সেখানে অশান্তি হবে। ওখানে ৬টা গ্রামে ভোট হয়েছে। চারটি গ্রামে কোনও অশান্তি হয়নি। আর দুটি গ্রামে অশান্তি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র ভেটুরিয়া বুথ থেকে ৭০০ ভোট লিড পেয়েছিলেন, সেখানেই অশান্তি হয়েছে। কোমরে ডান্ডা না ফেলতে পারলে শান্তি বাহিনীকে জব্দ করা যাবে না।” আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তির আশঙ্কা এদিন ফের একবার শোনা গেল শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। বললেন, “এই জন্যই তো বিজেপি হাইকোর্টে গিয়েছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে ও কোর্ট নিযুক্ত পর্যবেক্ষক দিয়ে নির্বাচন করতে হবে, সেই আবেদন নিয়ে।”
রাজ্যকে কোণঠাসা করতে, এর আগেও বিধানসভার বিরোধী দলনেতার গলায় শোনা গিয়েছে বিভিন্ন তির্যক খোঁচা। এদিন ফের একবার তিনি বললেন, “এ তো সবে সন্ধে। সূর্য এখনও ডোবেনি।”
এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর আসানসোলে আহতদের দেখতে না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, “ওখানে ছবি তুলল কম্বল দেওয়ার। তারপর গন্ডগোলটা পাকিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেল। দিল্লি, কলকাতা, কাঁথি যাচ্ছে। আসানসোলের মানুষের কাছে গিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়াবার আন্তরিকতা মানবিকতাটুকু দেখতে পারল না।”