লোকসভা নির্বাচনে রেকর্ড গড়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন ৭ লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে। বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে যা সবচেয়ে বড় ব্যবধান। ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের জয়ী প্রার্থী অভিষেক পেয়েছেন প্রায় সাড়ে দশ লক্ষ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস পেয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৭ হাজারের বেশি ভোট। অভিষেকের রেকর্ড ব্যবধানে জয় নিয়ে খোঁচা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এটি ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।
অভিষেকের জয়ের ব্যবধান নিয়ে বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর স্বনামধন্য ভাইপো, যিনি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলেছেন, ৭ লক্ষের বেশি ভোটে জিতেছেন। এই প্রহসনের নির্বাচন সকলেই দেখেছেন। ২০০৪ সালে আরামবাগ থেকে অনিল বসু ৬ লক্ষের বেশি ভোটে নজর কেড়েছিলেন। ২০০৯ সালে কিন্তু তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
ভোটের তারতম্যের নিরিখে, ২০২১ সালের যে বিধানসভা নির্বাচন তার তুলনায় বিজেপির ফল ভালো হয়েছে বলে জানান শুভেন্দু। পাশাপাশি বাংলার মানুষকে ভরসা দেন, রাজ্যে বিরোধী দল হিসেবে বিজেপির লড়াই জারি থাকবে। তবে পার্টির কেউ যাতে উৎসবে ভেসে না যান, সেই আবেদনও করেছেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, ‘আমাদের সকলকে বলব, বিজয় মিছিলের নামে অন্যের বিরক্তির কারণ না হতে। তৃণমূলের প্ররোচনায় পা না দিতে। কোথাও নির্বাচন পরবর্তী হিংসা হলে আমাদের জানাবেন, আমরা কন্ট্রোল রুম খুলেছি। নির্বাচন কমিশনের কাছে কৃতজ্ঞ, আরও ১৫ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হচ্ছে। নিজেদের এবং অন্যদেরও বলব, সংযত থাকতে। হিংসা যাতে না হয়, বিরোধী দলনেতা হিসেবে সকলের কাছে আবেদন করছি।’
শুভেন্দুর বিধানসভা এলাকা, নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী লিড পেয়েছেন। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও খোঁচা দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রামের মানুষকে প্রণাম, বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই। যেখানে আমি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছিলাম। তাঁরা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে লিড দিয়েছেন। পিসি-ভাইপো যে ভাঙা ক্যাসেট বাজান, আশা করি, আর বাজাবেন না। নন্দীগ্রামের মানুষ যে আমাদের এবং শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই রয়েছেন, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন।’