পূর্ব মেদিনীপুর: টানা বৃষ্টিতে জলস্রোত বাড়ছিল। কংসাবতী নদীর তীব্র জলস্রোতে ভেঙে পড়ল ব্রিজ। পৃথক হয়ে গেল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার এবং ময়না, দুই বিধানসভার একমাত্র সংযোগস্থলের লক্ষাধিক মানুষ।
রবিবার পুরুষাঘাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার ফলে এখন পুরোপুরি যাতায়াত বন্ধ হয়ে গিয়েছে দুই বিধানসভার লক্ষাধিক মানুষের। থমকে ব্যবসা-বাণিজ্য, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা এমনকি জেলা হাসপাতালে যাতায়াত।
দুই বিধানসভা এলাকার মধ্যে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা ছিল এই বাঁশের সাঁকো। প্রবল জলের তোড়ে সেই সাঁকো ভেঙে পড়ায় চরম দুর্দশার রয়েছেন নদীর দু’পাশে থাকা বিপুল সংখ্যক মানুষজন। বন্ধ হয়ে গিয়েছে জরুরি পরিষেবা-সহ এলাকার সবথেকে উল্লেখযোগ্য পান ব্যবসাও।
স্থানীয়রা বলছেন, বহু বছরের পুরনো এই বাঁশের সাঁকো। তার ওপর দিয়েই চলছে হাজার হাজার মানুষের প্রতিনিয়ত যাতায়াত। পাকা ব্রিজের দাবিতে বহুবার সরব হয়েছেন এলাকার মানুষজন। লিখিত আবেদনও করেছেন জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
প্রতি বছর বর্ষা এলেই বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয় থাকে তাঁদের। এবার সেটাই সত্যি হল। কাঁসাই নদীর প্রবল জলের স্রোত ভেঙে নিয়ে চলে গেছে তাদের একমাত্র ব্রিজ। বিকল্প হিসাবে ময়না শ্রীরামপুর রাস্তা থাকলেও ঘুরপথে প্রায় দশ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করে রোগী নিয়ে যাওয়া বা ব্যবসা করার ক্ষেত্রে যথেষ্টই অনুপযুক্ত সেটা।
রবিবার কার্যত এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ফের তাঁরা কংক্রিটের বাঁধের দাবি তুলেছেন।এদিকে ব্রিজ ভেঙে যাওয়া নিয়ে রাজ্যের সেচমন্ত্রীর সৌমেন মহাপাত্রের বক্তব্য, “এগুলো স্বাভাবিক ঘটনা। দু’ একটা ঘটনা নিয়ে সার্বিকভাবে বিচার করা যায় না।”
তবে নন্দকুমার এবং ময়না বিধানসভার মাঝে পুরুষাঘাট ব্রিজ ভাঙাটা মন্ত্রীর কাছে স্বাভাবিক ঘটনা হলেও সাধারণ মানুষের কাছে এই ঘটনা চরম যন্ত্রণার। তাঁদের দাবি, দীর্ঘ কুড়ি বছরের বেশি এই যন্ত্রণায় ভুক্তভোগী দুই বিধানসভার মানুষ। কবে সজাগ হবে প্রশাসন সেই অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন নন্দকুমার এবং ময়না বিধানসভার লক্ষাধিক মানুষ। আরও পড়ুন: ‘গতকাল কথা হয়েছে বাবুলের সঙ্গে’, সৌগতের মন্তব্যে সাংসদের ‘অলভিদা’-য় জল্পনা