নন্দীগ্রাম: আবার অশান্ত পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। ভোটের আগে হোক বা পরে বারেবারে রাজনৈতিক তরজার জেরে উত্তেজনা দেখা যায় এই এলাকায়। এবারও সেই একই ছবি। নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বয়াল ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচক গ্রামে তুমুল হইচই। শাসক দলেরর অভিযোগ, তৃণমূল করার জন্য বিজেপি তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। অপরদিকে, গেরুয়া শিবিরের দাবি, পারিবারিক বিবাদকে তৃণমূল রাজনীতির রঙ লাগাচ্ছে।
শাসকদলের বক্তব্য, বিজেপি কর্মীরা মঙ্গলবার অলকা পাত্র ও সুষমা পাত্র নামে দুই মহিলার উপর অত্যাচার করেছে। এর মধ্যে সুষমা আবার সন্তান সম্ভবা। তাঁদের মারধর করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়ি। যদিও, সেই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল মিথ্যার উপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় ইতিমধ্যে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী।
অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, “গতকাল থেকে ওই গ্রামে বিজেপি পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। সেই হামলার শিকার ওই মহিলারা। তাঁদের মধ্যে একজন সন্তান সম্ভবা। তাঁকে একটা ঘরে আটকে রেখে অত্যাচার করে বিজেপি। তীব্র নিন্দা করছি।” অপরদিকে, নন্দীগ্রাম বিজেপি মণ্ডল ৪ এর সভাপতি সৌমিত্র দে বলেন, “এটা পারিবারিক ঝামেলা। সেটাকে রাজনৈতিক রঙ লাগাচ্ছে। এটা ওদের তৃণমূলী কালচার।”