পূর্ব মেদিনীপুর: স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে সৈকতনগরীতে এসে হোটেলে উঠেছিলেন। হোটেল থেকে সন্ধ্যায় এক সঙ্গে ঘুরতেও বেরিয়েছিলেন। রাত ৯টার আগেই রুমে ঢুকে পড়েন। তারপর কী এমন হল? সেই হোটেলের রুম থেকে উদ্ধার হল প্রেমিকের ঝুলন্ত দেহ। সব থেকে অদ্ভূত ব্যাপার, তাঁর সঙ্গিনীর বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি নাকি জানতেই পারলেন না ঠিক কীভাবে ঘটল এই ঘটনা? দিঘার একটি হোটেল থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের নাম রাম উপাধ্যায় (৪৩)। হুগলির ডানকুনি থানার গোকুলধাম দিল্লি রোডের বাসিন্দা। হোটেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, রবিবার প্রেমিকা মালা ঘোষের সঙ্গে দিঘা আসেন তিনি। রাতেই হোটেলের ঘর থেকে গলায় ফাঁস লাগানো তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় নিহতের বান্ধবী মালাকে আটক করেছে পুলিশ।
মালার বয়ান অনুযায়ী, তাঁরা এক সঙ্গেই দিঘায় ঘুরতে এসেছিলেন। সকালে তাঁরা সমুদ্র দেখতে বের হন। খাওয়া দাওয়া করেন, ছবিও তোলেন। ওই যুবতীর কথায়, ‘তখনও পর্যন্ত সব ঠিকই চলছিল..’ এরপর রুমে ফিরে আসেন। মালায় কথা অনুযায়ী, ঘরে ফিরে মদ্যপান করেন রাম। তারপর কিছু একটা বিষয় নিয়ে মালার সঙ্গে ঝামেলা শুরু করেন তিনি। বারাসতের ন’পাড়ার বাসিন্দা মালা বিবাহিত। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে রামের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে রয়েছেন তিনি। সে কথা পুলিশের কাছে স্বীকারও করেছেন। এই সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়েই তাঁদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়।
মালার বক্তব্য অনুযায়ী, মদ খেয়ে রাম মালাকে মারধর করেন। এরপর তিনি ব্যালকনিতে গিয়ে বসে থাকেন। ঘরের ভিতর সাড়া শব্দ পাচ্ছিলেন না তিনি। ভেবেছিলেন রাম হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছেন। দীর্ঘক্ষণ সাড়া না পাওয়ায় ঘরে ঢুকে তিনি দেখেন, রাম গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন। তখনই হোটেলের কর্মীদের ডেকে আনেন তিনি। খবর দেওয়া হয় থানায়।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মালাকে আপাতত আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাঁর বক্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: HC On Alipur Jail: আলিপুর জেলের একটা ইটও আর ভাঙতে পারবে না রাজ্য, স্পষ্ট জানিয়ে দিল হাইকোর্ট