পূর্ব মেদিনীপুর: বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে শুভেন্দু অধিকারীর পুজোর অনুমতিও বাতিল! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল রাজ্যের সেচ দফতরে বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনার জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে। আর আদালতের নির্দেশের পরই গোটা এলাকা ঘুরে দেখলেন হাইকোর্টের নিযুক্ত স্পেশাল অফিসার। সবমিলিয়ে দুর্গাপুজো নিয়েও এ বার জোর তরজায় জড়ানোর পথে শাসক ও বিরোধী শিবির।
দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর ধরে কাঁথি শহরের সেচ দফতরের জায়গায় দুর্গাপুজোর আয়োজন করে আসছে স্থানীয় রিক্রিয়েশন ক্লাব। বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর সভাপতিত্বে এই পুজো হয়ে থাকে। তবে এ বছর ওই ক্লাবের পুজোর অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে বলে খবর। ক্লাব কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণেই পুজোর অনুমোদন দেওয়ার পরেও তা বাতিল করা হয়। এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
আবেদনকারীর দাবি শোনার পর কাঁথি রিক্রিয়েশন ক্লাবের পুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বুধবারই স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি কেশনঙ ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ মেনে বুধবার সন্ধ্যা নামতেই কাঁথিতে হাজির হন হাইকোর্টের নিযুক্ত প্রতিনিধি। যে জায়গায় পুজো হত. সেই জায়গা পরিদর্শন করেন তিনি। কোন কারণে ২২ বছরের পুজোকে এ বার অনুমোদন দেওয়া হল না, সেটা খতিয়ে দেখেন দুই সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল।
হাইকোর্টের নিযুক্ত এই প্রতিনিধি দল এ দিন কাঁথির সেচ দফতরের প্রস্তাবিত পুজোর জায়গা পরিদর্শন করেন। কাঁথি থানার আইসি ও মহকুমা প্রশাসন, এবং সেচ দফতরের আধিকারিকা ছাড়াও ক্লাবের সদস্য হাজির ছিলেন পরিদর্শন চলাকালীন। যদিও প্রতিনিধি দল বা ক্লাব কর্তৃপক্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এ দিনের সব রিপোর্ট নিয়ে আগামিকাল হাইকোর্টে জমা দেওয়ার পরই আদালত রায় ঘোষণা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কোনও পুজো কমিটির অনুমোদন বাতিলের ঘটনায় উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ নজিরবিহীন ঘটনা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই ওই পুজো কমিটির অনুমোদন বাতিল করা হয়েছিল। এখন মহামান্য উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণে সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।” তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া এই নিয়ে পাওয়া যায়নি।