Suvendu Adhikari: ‘ভবানীপুরে পুণ্য কাজে যাব’, নন্দীগ্রামে আশীর্বাদ চাইলেন শুভেন্দু

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Sep 22, 2021 | 5:08 PM

Suvendu Adhikari in Nandigram: "সোনাচূড়ার মানুষ আশীর্বাদ করেছিল আমাকে, তাই বারশো ভোটে আমাকে হারিয়ে দেওয়ার পরও আমিই জিতেছিলাম নন্দীগ্রামে (Nandigram)। কারণ, আমি জানতাম সোনাচূড়া থেকে চার হাজার না হলেও তিন হাজার লিড পাব।''

Suvendu Adhikari: ভবানীপুরে পুণ্য কাজে যাব, নন্দীগ্রামে আশীর্বাদ চাইলেন শুভেন্দু
নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র

Follow Us

নন্দীগ্রাম: ভবানীপুর উপনির্বাচনে (Bhawanipur By Election) তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাাধ্যায়কে পরাজিত করতে নন্দীগ্রামের (Nandigram) মানুষের আশীর্বাদ চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূল সুপ্রিমোকে উদ্দেশ্য করে নন্দীগ্রামের সোনাচুড়া থেকে তাঁর কটাক্ষ, “নন্দীগ্রামে যেভাবে আশীর্বাদ করেছিলেন,  ভবানীপুরেও করুন। এখানে হারিয়েছি ওখানেও…হরে কৃষ্ণ হরে হরে।”

উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল সুপ্রিমো নন্দীগ্রামে পরাজিত হন শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। তার পর ভবানীপুরের উপনির্বাচন মুখ্যমন্ত্রী থাকার জন্য মমতার পরীক্ষা। এখানে বিজেপির প্রার্থী আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এই প্রেক্ষিতে ভবানীপুরের জন্য নন্দীগ্রামের ভোটারদের আশীর্বাদ চাইলেন বিধানসভার বিরোধী নেতা।

বুধবার নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু বলেন, “সোনাচূড়ার মানুষ আশীর্বাদ করেছিল আমাকে, তাই বারশো ভোটে আমাকে হারিয়ে দেওয়ার পরও আমিই জিতেছিলাম নন্দীগ্রামে (Nandigram)। কারণ, আমি জানতাম সোনাচূড়া থেকে চার হাজার না হলেও তিন হাজার লিড পাব। আর যখনই সোনাচুড়া গণনা হলো তখনই দিদিমণি এখান থেকে পগার পার।”

প্রসঙ্গত, গত ২  মে ভোট গণনার দিন প্রথমে নন্দীগ্রাম থেকে বিজয়ী প্রার্থী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করলেও পরে নির্বাচন কমিশন জানায় ১৯৬৫ ভোটে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। যার পরে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ এনে আদালতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে তৃণমূল নেত্রীকে এদিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, “ভবানীপুরে পুণ্য কাজে যাব। আমাকে যেভাবে আশীর্বাদ করেছিলেন নন্দীগ্রামে, সেভাবেই আশীর্বাদ করুন। এখানে হারিয়েছি ওখানেও… হরে কৃষ্ণ হরে হরে।”

নন্দীগ্রাম সোনাচূড়ায় শহিদ নিশিকান্ত মণ্ডলের স্মরণসভায় গিয়ে নন্দীগ্রামে জেতার পিছনে সোনাচূড়ার ভোটারদের ভূমিকায় বিশেষ জোর দিতে শোনা যায় শুভেন্দুকে। সোনাচূড়াবাসীর প্রশংসায় মাতেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, গত বিধানসভায় শেষ রাউন্ডের গণনায় সোনাচূড়া থেকেই লিড পেয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক হয়েছেন তিনি।

এদিকে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, সেদিন গণনার দিন তাঁর পোলিং এজেন্টকে ভয় দেখানোর পাশাপাশি সোনাচূড়া বুথের সতেরোটি  ইভিএম (EVM) মেশিন লুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একাজ করেছিল তৃণমূল বলে অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা। তার পরই তাঁর মন্তব্য, “তবে নন্দীগ্রামের মানুষের আশীর্বাদ পেয়ে যেভাবে নন্দীগ্রাম বিধানসভায় দিদিমণিকে হারিয়েছি সেভাবেই ভবানীপুরেও দিদিমণিকে হারাব।”  আর তার জন্য নন্দীগ্রামের মানুষের আশীর্বাদ চাইলেন তিনি।

উল্লেখ্য, ভবানীপুর উপনির্বাচনেও তিনি ফের মমতার বিপক্ষে দাঁড়াবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শুভেন্দু। যদিও তৎকালীন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সেই জল্পনা উড়িয়ে দেন। কটাক্ষের সুরে বলেন, একবার তো তিনি হারিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। আর কতবার হারাবেন! এবার সেই ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থীর জয়ের জন্য ফের নন্দীগ্রামের ভোট প্রসঙ্গ টানলেন শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন: Khardah: জমা জলে একই পরিবারে ৩ সদস্যের মৃত্যু, তড়িঘড়ি ২ কোটির পাম্পিং প্রোজেক্টে অনুমোদন প্রশাসনের! 

Next Article