Khardah: জমা জলে একই পরিবারে ৩ সদস্যের মৃত্যু, তড়িঘড়ি ২ কোটির পাম্পিং প্রোজেক্টে অনুমোদন প্রশাসনের!

Electrocution: এলাকার জল নিষ্কাশনে আসা কর্তব্যরত দমকলের অফিসার জানিয়েছেন,  খড়দহ-পাতলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা নীচু জায়গা। ভৌগোলিকভাবে এলাকার বিস্তৃতী অনেকটা কড়াইয়ের মতো। ফলে জল জমে।

Khardah: জমা জলে একই পরিবারে ৩ সদস্যের মৃত্যু, তড়িঘড়ি ২ কোটির পাম্পিং প্রোজেক্টে অনুমোদন প্রশাসনের!
জলমগ্ন এলাকা, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2021 | 1:52 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: এক পরিবারের তিন সদস্যের বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। খড়দহের পাতলিয়ায় জমা জল নিষ্কাশনে সেচ দফতর (Irrigation Department) থেকে ৬টি পাম্প ও দমকল ২টি পাম্প আনা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই চলছে জল নিষ্কাশনের কাজ। যদিও ফের বৃষ্টি হলে এলাকা জলমগ্ন (Water Logging) হতে পারে বলে আশঙ্কা।

এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বৃষ্টি বাড়লেই গোটা এলাকা এভাবেই জল থইথই করে। জল ঢুকে যায় বাড়িতেও। বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। রাজনৈতিক নেতাদের কেবল দেখা যায় নির্বাচনের সময়ে। পরে তাঁদের আর পাওয়া যায় না বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের।

জলযন্ত্রণায় ভুক্তভোগী এক বাসিন্দার কথায়, “বৃষ্টি হলেই জল জমবে। এতদিন বলে বলেও লাভ হয়নি। তিন-তিনটে লোক মারা যাওয়ায় তারপর প্রশাসনের হুঁশ ফিরল! এখন তো আমরা বাড়িতে থাকতেও ভয় পাচ্ছি। অনেকে তো বাড়ি ছেড়ে চলেও যাচ্ছে, এই ভয়ে যাতে কারেন্ট শক না খেতে হয়! কবে জল নামবে কেউ জানে না।”

অন্য় আরেক এলাকাবাসী বলেন, “ভোট আসলে বাড়ির দুয়ারে দুয়ারে এসে হাতজোড় করে যান নেতারা। ভোট গেল তো সব গেল! তখন আর আমাদের সমস্যার কথা শোনার সময় নেই। এভাবে যে কতদিন চলবে জানি না।” কিন্তু, কেন এইভাবে জল জমছে? কেনই বা কোনও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না?

এলাকার জল নিষ্কাশনে আসা কর্তব্যরত দমকলের অফিসার জানিয়েছেন,  খড়দহ-পাতলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা নীচু জায়গা। ভৌগোলিকভাবে এলাকার বিস্তৃতী অনেকটা কড়াইয়ের মতো। ফলে জল জমে। সেই জল পাম্পিং করে তোলা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। অন্যদিকে, খড়দহে এখন কোনও বিধায়ক নেই। এলাকাটি পঞ্চায়েত বা পৌরসভার আয়ত্ত্বাধীনও নয়। ফলে, কাজ করতে সমস্যা। যদিও, প্রশাসন সূত্রে খবর, খড়দহ পাতলিয়ার ওই বিস্তীর্ণ এলাকার নিকাশী ব্যবস্থা সুসংহত করতে ২ কোটি টাকার একটি পাম্পিং প্রোজেক্ট অনুমোদন করা হয়েছে। কিছু প্রশাসনিক কারণে তা আটকে রয়েছে। সেগুলি  ঠিক হলেই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এক সরকারি অধিকর্তা।

টানা বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন ছিল খড়দহের বিস্তীর্ণ এলাকা। পাতলিয়ায় সরকারি আবাসনে নিজের স্ত্রী ও দুই পুত্রকে নিয়ে থাকতেন বছর চল্লিশের রাজা দাস। কিছুদিন ধরেই বৃষ্টির জেরে আবাসনের ভেতরেও জল জমেছে। জমা জলেই মঙ্গলবার ঘরের মধ্য়েই বাড়ির কোনও কাজে বিদ্যুত্‍ সংযোগ করতে গিয়েছেল রাজা। সেইসময়ে তিনি বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হন। স্বামীকে বাঁচাতে ছুটে আসেন স্ত্রী পৌলমী। তিনিও বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট ( Electrocution) হন। মা-বাবাকে বাঁচাতে আসেন বছর এগারোর শুভ দাস। সেসময় খাটের ওপর বসেছিল তার ছোট ভাই। কিন্তু, মা-বাবাকে বাঁচাকে গিয়ে বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয় শুভও। বেঁচে যায় চার বছরের নাবালক।

চার বছরের ছোট ছেলেটি কী করবে বুঝতে না পেরে প্রতিবেশীদের ডেকে আনে। রাজা, পৌলমী ও শুভ তিনজনকেই ব্যারাকপুর বিএন বোস মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসকেরা তিন জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হয় খড়দহ থানায়। ছুটে আসে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই তিনজনের। একই পরিবারের তিনজনের এভাবে মৃত্য়ুতে কার্যত চাঞ্চল্য ছড়ায়।

আরও পড়ুন: Dev: ‘বাবুলদা আজ আমাদের দলে, কাল…’, বলেই থামলেন তারকা-সাংসদ!

আরও পড়ুন: Jitendra Tiwari: জল্পনায় জল, শুভেন্দুর সঙ্গে কর্মিসভায় জিতেন্দ্র, নির্বাচনে লড়তে চ্যালেঞ্জ বাবুলকে