Corruption: ‘দুর্নীতি’ স্বীকার করেও রাজ্য বলল, ‘অপরাধী পালিয়ে গিয়েছে’! ‘আইওয়াশ হচ্ছে?’ প্রশ্ন আদালতের

Flood Corruption High Court: এই মামলায় আদালতের সামনেই রাজ্য স্বীকার করে নেয়, যেভাবে ত্রাণের টাকা নয়-ছয় হয়েছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের।

Corruption: 'দুর্নীতি' স্বীকার করেও রাজ্য বলল, 'অপরাধী পালিয়ে গিয়েছে'! 'আইওয়াশ হচ্ছে?' প্রশ্ন আদালতের
হাইকোর্টে জোড়া মামলা নিয়ে যাচ্ছে বামেরা (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2021 | 10:01 PM

কলকাতা: ২০১৯ সালে মালদহে বন্যা পরিস্থিতির পর ত্রাণের টাকা নয়ছয় করার ঘটনা ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে আদালতে (Calcutta High Court) স্বীকার করে নিল রাজ্য সরকার (West Bengal Govt)। উদ্বেগের কারণ, সেখানে দুর্নীতির (Corruption) সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান। যে কারণে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছিল অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কিন্তু এত কিছু জানার পরও মূল অপরাধীকে ধরতে আরও সময় চাইল রাজ্য সরকার।

২০১৯ সালে মালদহে বন্যার পর ত্রাণের জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর কথা ঘোষণা করে রাজ্য। দেখা যায়, একই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে একাধিক লোকের ত্রাণের টাকা পাঠানো হয়েছে। এরপর আদালতের নির্দেশে এফআইআর দায়ের করা হলেও প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এখনও গ্রেফতার করেনি রাজ্য পুলিশ। এই মামলায় আদালতের সামনেই রাজ্য স্বীকার করে নেয়, যেভাবে ত্রাণের টাকা নয়-ছয় হয়েছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের।

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগ দিয়ে। মালদহের বন্যায় যে যে সমস্ত মানুষের বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, সেই বাড়ির মালিকদের ৭০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করে রাজ্য। সেই অনুযায়ী, প্রায় ১৪ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা তৈরি হয় এবং তাতে সিলমোহর দেন খোদ বিডিও। সেই মতো প্রায় সব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অ্যাকাউন্টেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু মামলাকারীর অভিযোগ, এই ১৪ হাজার নামের তালিকায় গরমিল রয়েছে।

কী ধরনের গরমিল? মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তালিকায় থাকা ১৪ হাজার নামের মধ্যে ৭ হাজার ব্যক্তি এমন রয়েছেন যারা কেবলমাত্র একটি ফোন নম্বরের অধিকারী। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আর কেউ নন, খোদ পঞ্চায়েত প্রধান। বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হতে বিডিও নিজেই স্বীকার করে নেন, কোথাও একটা ‘দুর্নীতি’ হয়েছে। কিন্তু তারপরেও আজ পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এই নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিও একাধিক সওয়াল তোলেন।

আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: ভবানীপুরে ‘খেলবেন’ মমতা-প্রিয়াঙ্কা, কিন্তু নির্ণায়ক ‘গোল’ দিতে পারে এই দুই ওয়ার্ড

রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেলের দায়িত্ব নেওয়ার পর বুধবার গোপাল মুখোপাধ্যায় আদালতে স্বীকার করে নেন, ‘বিরাট দুর্নীতি’ হয়েছে। কিন্তু তিনি আদালতে জানান, “অপরাধী পালিয়ে গিয়েছে।” তাই রাজ্য প্রশাসন যে কাজ করছে সেটা প্রমাণের জন্য, এবং মূল অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করার জন্য আরও এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক। যদিও ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এতে সন্তুষ্ট হননি। তিনি বলেন, “তাহলে কাজ হচ্ছে না কেন? এটা কি আইওয়াশ হচ্ছে?” এক সপ্তাহের মধ্যে ফের রাজ্যকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Covid Death: করোনায় মৃত্যু হলে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র