Teacher Transfer : এখন থেকে বদলির আবেদন করতে পারবেন ‘সিঙ্গল সাবজেক্ট টিচার’রাও

Single Subject Teacher : এখন থেকে কোনও স্কুলে কোনও বিষয়ের একজন মাত্র শিক্ষক থাকলেও তিনি বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেই আবেদনপত্র খতিয়ে দেখবেন সংশ্লিষ্ট ডিআই।

Teacher Transfer : এখন থেকে বদলির আবেদন করতে পারবেন 'সিঙ্গল সাবজেক্ট টিচার'রাও
স্কুল খুললেই কাটল তাল (বিকাশ ভবনের ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2021 | 11:43 PM

কলকাতা : এবার থেকে ‘সিঙ্গল সাবজেক্ট টিচারদের’ সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। এখন থেকে তাঁরাও বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আজ স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

সিঙ্গল সাবজেক্ট টিচার অর্থাৎ, যে সব উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে একটি বিষয়ের জন্য একজনই মাত্র শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরা এতদিন পর্যন্ত বদলির কোনও সুযোগ পেতেন না। অনেকক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, শিক্ষকদের বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব অনেক। সেক্ষেত্রে বাড়ির কাছাকাছি কোথাও কোনও স্কুলে বদলি হওয়ার জন্য আবেদনটুকুও করতে পারতেন না সিঙ্গল সাবজেক্ট টিচাররা। বা আবেদন করলেও তা সঙ্গে সঙ্গে নাকচ করে দেওয়া হত। এবার থেকে আর সেই সমস্যা থাকছে না।

এখন থেকে কোনও স্কুলে কোনও বিষয়ের একজন মাত্র শিক্ষক থাকলেও তিনি বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেই আবেদনপত্র খতিয়ে দেখবেন সংশ্লিষ্ট ডিআই। এরপর ডি আই সব দিক পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন, ওই স্কুল শিক্ষককে বদলি দেওয়া হবে কি না।

বদলি সংক্রান্ত এই সমস্যা নিয়ে লাগাতার বিকাশ ভবনে অভিযোগ করছিলেন শিক্ষকরা। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তবে এবার নড়েচড়ে বসল স্কুল শিক্ষা দফতর। এখন থেকে আর আবেদনপত্র সঙ্গে সঙ্গে নাকচ করে দেওয়া হবে না। সব দিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজন বুঝে আবেদন মঞ্জুর করা হবে কি না সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ডি আই। একইসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছে, যতদিন পর্যন্ত না এই সংক্রান্ত নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত সিঙ্গল সাবজেক্ট টিচারদের আবেদন যেন সহমর্মিতার সঙ্গে বিচার করে দেখা হয়।

বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সংগঠনের সহ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানিয়েছেন, “রাজ্য সরকারের তরফে বদলি সংক্রান্ত যে পোর্টালটি তৈরি করা হয়েছে, সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে সিঙ্গল সাবজেক্ট টিচাররা কোনওরকম বদলির সুযোগ পাবেন না। একমাত্র স্পেশাল ক্যাটেগরিকে এর আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। ফলে রাজ্যের প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষক – শিক্ষিকা বদলির আওতায় আসছিলেন না। এই নিয়ে বিকাশ ভবনে মন্ত্রীর দফতরে এবং কমিশনারের কাছে ডেপুটেশন জমা করা হয়েছিল। রাজ্যের সিংহভাগ শিক্ষক শিক্ষিকা বঞ্চিত করে এভাবে বদলি চালু করা যায় না বলেও জানানো হয়েছিল ডেপুটেশনে। এটি আমাদের সংগঠনের একটি বড় সাফল্য। এর মাধ্যমে সব স্তরের শিক্ষকরা উপকৃত হবেন।”

উল্লেখ্য, শুধু এই একটি সমস্যাই নয়। রাজ্যে শিক্ষকদের আরও একগুচ্ছ অভাব অভিযোগ রয়েছে। দু’দিন আগেই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান অস্থায়ী শিক্ষকরা। নবম ও দশম শ্রেণির শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষার অস্থায়ী শিক্ষকরা স্থায়ী চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। এর আগেও একাধিকবার স্থায়ী চাকরির দাবিতে সরব হয়েছিলেন শিক্ষকরা।

শিক্ষকদের দাবি, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ীকরণের দাবি তুলে আসছিলেন। কিন্তু সরকার তাতে কোনওভাবেই কর্ণপাত করছে না। আর সেই কারণেই কার্যত নিরুপায় হয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে হাজির। আশা ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে গেলে হয়ত কিছু একটা সুরাহার ব্যবস্থা হবে। কিন্তু আন্দোলনকারী শিক্ষকরা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দিকে এগোতেই ব্যারিকেড করে রাস্তা আটকে দেয় পুলিশ।

আরও পড়ুন : School Teacher: দুর্নীতির বোঝা কাঁধে ৫৪৩ দিন ‘ছুটি’ কাটিয়ে পদে বহাল প্রধান শিক্ষক! বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

আরও পড়ুন: Teacher Protest : ‘আমাদের বাঁচান, একবার দেখা করুন’, কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ অস্থায়ী শিক্ষকদের