Crime: জেল থেকে আদালতে গিয়েছিল শূন্য হাতে, সংশোধনাগারে কয়েদি ফিরল গাঁজা নিয়ে!

Presidency Jail and Marijuana: বছর ছয়েক ধরে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের দিন কাটে এমডি জাফরের। তার নামে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় জেলখানাই আপাতত ঠিকানা কলকাতার ট্যাংরার বাসিন্দা জাফরের।

Crime: জেল থেকে আদালতে গিয়েছিল শূন্য হাতে, সংশোধনাগারে কয়েদি ফিরল গাঁজা নিয়ে!
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2021 | 9:05 PM

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো একের পর এক অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত সে। এখন দিন কাটে কয়েদখানার মধ্যেই। একটি মামলার শুনানিতে এদিন ডাক পড়েছিল এমডি জাফরের। খালি হাতেই সে গিয়েছিল আদালতে হাজিরা দিতে। আর সংশোধনাগার ফিরল গাঁজা (Weed) হাতে! ঘটনাস্থল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার (Presidency Jail)। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটাই সত্যি।

বছর ছয়েক ধরে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের দিন কাটে এমডি জাফরের। তার নামে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় জেলখানাই আপাতত ঠিকানা কলকাতার ট্যাংরার বাসিন্দা জাফরের। বুধবার আলিপুর আদালতে হাজিরার দিন ছিল তার। সেই মতো প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে থেকে আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় জাফরকে। আর সেখানে গিয়ে থাকতে হয় আদালতের ঘেরাটোপে।

হাজিরার জন্য প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে হেঁটে আদালতে যেতে হয়। আবার সংশোধনাগারে আসার জন্য একইভাবে নিয়ে আসা হয় অভিযুক্তদের। থাকে পুলিশি ঘেরাটোপ। জাফরের ক্ষেত্রেও তার কোনও অন্যতা হয়নি। তো শুনানি শেষে এই ভাবেই ফের সংশোধনাগারে ফেরে জাফর।

জেলের নিয়ম অনুযায়ী, আদালত থেকে সংশোধনাগারে ফেরার পরে প্রত্যেক অভিযুক্তের তল্লাশি হয়। সেই মতো অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে জাফরেরও তল্লাশি করেন সংশোধনাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মীরা। হঠাৎ জাফরের চোখমুখ দেখে কেমন যেন সন্দেহ হয় নিরাপত্তাকর্মীদের। তার জামা-কাপড়ে তল্লাশি করে কিছুই অবশ্য মেলেনি। কিন্তু সন্দেহবশতঃ এর পর জাফরের অন্তর্বাস চেক করা হয়।

আর তার পর যা উদ্ধার হল তা দেখে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ নিরাপত্তাকর্মীদের। এ যে গাঁজা! আর তার পরিমাণও নেহাত কম নয়। প্রায় ৫০ গ্রাম মাদক উদ্ধার হয়েছে জাফরের কাছে বলে দাবি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের। তার পর যা হবার তাই হল। জাফরের নামে আরও একটা মামলা যুক্ত হল সংশোধনাগার থেকে আদালতে যাওয়া-আসার মাঝেই।

তার কাছ থেকে গাঁজা উদ্ধারের পর হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই কড়াকড়ির মধ্যে কীভাবে গাঁজা পেল, আর কীভাবেই সেটা নিরাপত্তারক্ষীর চোখের আড়ালে নিজেরে অন্তর্বাসে ঢুকিয়ে ফেলল জাফর? এ কোন ম্যাজিক! জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে অবশ্য খবর, কোথা থেকে জাফর এই গাঁজা এনেছে, কারা কারা এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে, তা তাঁরা জেনে নেবেন। তার জন্য অভিযুক্তের সঙ্গে কথাও বলা হবে পুলিশ বলে সূত্রের খবর।

তবে কারা দফতরের কর্মী-আধিকারিকদের অনুমান, আদালতে ঢোকা বা বেরোনোর পথেই এই গাঁজা পেয়েছে জাফর। তবে এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করতে নারাজ তাঁরা। শুধু জানাচ্ছেন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত পুলিশ করবে। তার আগে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।

আরও পড়ুন: Alipurduar: মাঝরাতে বন্দুক নিয়ে বিডিও-র ঘরে হামলা, প্রাণনাশের হমকি!