Alipurduar: মাঝরাতে বন্দুক নিয়ে বিডিও-র ঘরে হামলা, প্রাণনাশের হমকি!

Kalchini: কালচিনির ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক প্রশান্ত বর্মণের অভিযোগ, জনাচারেক দুষ্কৃতী মঙ্গলবার রাতে তাঁর বাড়িতে হামলা করেন। দুষ্কৃতীদের হাতে বন্দুক ছিল বলে অভিযোগ।

Alipurduar: মাঝরাতে বন্দুক নিয়ে বিডিও-র ঘরে হামলা, প্রাণনাশের হমকি!
বিডিও প্রশান্ত বর্মণ, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2021 | 4:36 PM

আলিপুরদুয়ার: আচমকা বিডিওর বাসভবনে হামলা। বিডিও (BDO) প্রশান্ত বর্মনের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে কিছু দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত ১২ টা নাগাদ  জনাচারেক দুষ্কৃতী বন্দুক নিয়ে হাজির হয়। অভিযোগ, রাতের বেলা তাঁর বাড়িতে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়।

কালচিনির ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক প্রশান্ত বর্মণের অভিযোগ, জনাচারেক দুষ্কৃতী মঙ্গলবার রাতে তাঁর বাড়িতে হামলা করেন। দুষ্কৃতীদের হাতে বন্দুক ছিল বলে অভিযোগ। ঘরের জানলা খোলা ছিল। খোলা জানলা দিয়ে ওই দুষ্কৃতীরা ইঁট-পাথর ছুড়ে প্রথমে হামলা করে। পরে, বন্ধ দরজায় ধাক্কাধাক্কি করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। আত্মগোপন করতে প্রশান্তবাবু বাড়ির বাথরুমে আশ্রয় নেন। বাড়ির দরজা থেকেই দুষ্কৃতীরা প্রশান্তবাবুকে প্রাণে মারার হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ। এরপর বুধবার সকালে কালচিনি থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ দায়ের করেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক।

প্রশান্তবাবুর কথায়, “আচমকাই জনাচারেক লোক এসে হামলা চালাল। কে বা কারা জানি না। কেন হামলা চালাল তাও জানি না। কাউকেই চিনতে পারিনি। আমি বাথরুমে গিয়ে আত্মগোপন করি। আমাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। বুধবার তাই বাধ্য হয়েই অফিস বন্ধ রেখেছি। ”

উল্লেখ্য়, চিকিৎসক, স্বাস্থকর্মী থেকে প্রশাসনিক কর্তা ও কর্মীরা নিজেদের প্রাণীর ঝুঁকি নিয়ে করোনা মোকাবিলায়। এই আবহে সাহসী পদক্ষেপ করে নজর কেড়েছিলেন কালচিনির বিডিও-র। চা বাগানে গিয়ে শ্রমিকদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করেন তিনি। গরিব শ্রমিকদের মধ্যে যাতে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ না ছড়িয়ে পড়ে সেদিকে খেয়াল রেখেই তাঁর এই উদ্যোগ। দেন করোনা সচেতনতার পাঠও।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিডিও জানান, করোনা টেস্ট নিয়ে তেমন স্বতঃস্ফূর্ত নন বাগান শ্রমিকরা। অনেকেই ভয় পেয়ে পিছিয়ে যান। তাঁদের এই ভীতি দূর করতে স্বাস্থ্য দফতরকে সঙ্গে নিয়ে টেস্টিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিডিও প্রশান্ত বর্মন আরও যোগ করেন, “রাজ্য তথা জেলাজুড়ে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। কালচিনির বেশির ভাগই চা-বাগান এলাকা। এখানে ২১ টি চা-বাগান রয়েছে। চা-বাগানের শ্রমিকরা ভয় পাচ্ছেন কোভিডকে। তাঁদের ভয় দূর করতেই এই উদ্যেগ নিয়েছি।”

প্রসঙ্গত, বিডিও হিসেবে এটাই প্রশান্তবাবুর প্রথম চাকরি। তাঁর বাড়ি কোচবিহারে। কয়েক মাস আগে রাজনৈতিক বিতণ্ডায় কালচিনির বিডিও অফিসে তালা লাগিয়ে দেয় শাসক দল। তখন বিডিও অফিসের সামনে মাটিতে বসেই অফিসের কাজ সেরেছিলেন প্রশান্ত বর্মণ। করোনা পরিস্থিতিতে নিজে বাড়ি বাড়ি ঘুরে পৌঁছে দিচ্ছেন সরকারি পরিষেবা।

আরও পড়ুন: Dinhata: ‘গৌরী লঙ্কেশের মতো অবস্থা হবে’, TV9-এর চিত্র সাংবাদিককে হুমকি উদয়ন-ভাইপোর!

আরও পড়ুন: Khardah: জমা জলে একই পরিবারে ৩ সদস্যের মৃত্যু, তড়িঘড়ি ২ কোটির পাম্পিং প্রোজেক্টে অনুমোদন প্রশাসনের!