TMC: ‘ন্যায্য রায় পান দিদি’, রাজ্যের মঙ্গল কামনায় হোম-যজ্ঞের আয়োজন তৃণমূলের

Alipurduar: আলিপুরদুয়ারের দুর্গাবাড়ি মন্দিরে সকাল থেকেই ভিড় জমান তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) কর্মী-সমর্থকেরা। ভবানীপুর উপনির্বাচন উপলক্ষ্যে সস্ত্রীক সেখানে পুজো দিয়ে যজ্ঞও সারেন তৃণমূল সভাপতি।

TMC: 'ন্যায্য রায় পান দিদি', রাজ্যের মঙ্গল কামনায় হোম-যজ্ঞের আয়োজন তৃণমূলের
চলছে পুজো, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 26, 2021 | 7:29 PM

আলিপুরদুয়ার: হাতে মাত্র ৪ দিন। দোরগোড়ায় উপনির্বাচনের (West Bengal ByPoll) ডঙ্কা বাজছে। ভবানীপুরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়লাভ কামনা করে দুর্গাবাড়িতে পুজো দিয়ে যজ্ঞ করলেন আলিপুরদুয়ার টাউন ক্লাবের ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়।  এদিন, পুজো দেওয়ার পর তিনি জানান, মূলত তৃণমূল সুপ্রিমোর জয়লাভ ছাড়াও দলের মঙ্গল কামনা করেও পুজো দিয়েছেন তিনি।

এদিন, আলিপুরদুয়ারের দুর্গাবাড়ি মন্দিরে সকাল থেকেই ভিড় জমান তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) কর্মী-সমর্থকেরা। ভবানীপুর উপনির্বাচন উপলক্ষ্যে সস্ত্রীক সেখানে পুজো দিয়ে যজ্ঞও সারেন তৃণমূল সভাপতি। পুজোপাঠ  ও যজ্ঞ শেষে দীপ্তবাবু বলেন, “বিজেপি সারা ভারতবর্ষে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। পশ্চিমবঙ্গ ভেঙে দুই টুকরো করার চেষ্টা করছে। দিদি যাতে নির্বাচনে জয়লাভ করেন তাই পুজো দিয়েছি। দিদি সুস্থ থাকলে বাংলাও সুস্থ থাকবে। চাই, দিদি ন্যায্য রায় পান।”

উল্লেখ্য, রবিবারেও ভবানীপুরে প্রচারে খামতি নেই কোনও রাজনৈতিক দলের। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়াল এদিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো সবজায়গায় আমায় অনুসরণ করছেন। আমি যে জৈন মন্দিরে সকালে গিয়েছি, সেখানে ওঁ বিকেলে গিয়ে পুজো দিয়ে আসছেন। ওঁর আমাকে এত ভয় কেন!” অন্যদিকে, এদিনই ভবানীপুরে প্রচারে গিয়ে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এমনকী, পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি ও হাতাহাতিতেও জড়িয়ে যায় বামশিবির।

সুজন চক্রবর্তীর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী বলে নির্বাচনের সময় কিছু হয় না। নির্বাচনের সময় যে কেউ যেতে পারেন ভোট প্রচারে। মমতা এখন মুখ্যমন্ত্রী নন। এখানে তিনিও একজন ভোটার। কিন্তু কেন এখানে পুলিশি এই ঘেরাটোপ।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের গিয়েছি। কমিশন থেকে বলা হয়েছে পুলিশের অনুমতি না দেওয়ার কোনও কারণ নেই। তার পরেও এখানে তিন তিনটে ব্যারিকেড ছিল। প্রথমটি ভাঙতে হল। তার পর দেখা যায় এখানে সাদা পোশাকে রয়েছে কিছু তৃণমূলের গুন্ডা।” তাঁদের প্রার্থী শ্রীজীবের উপরও আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ভবানীপুর উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। শুধুমাত্র ভবানীপুর (Bhabanipur) আসনের নির্বাচনের জন্য কেন চিঠি লিখলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব (Chief Secretary)? কেন ভোটে লড়ে জয়ী হওয়ার পরও আসন ছাড়লেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattarjee)? হাইকোর্টে এমনই একাধিক অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যকে। পাশাপাশি, আদালতের তরফে নির্বাচন কমিশনকে যে হলফনামা দিতে বলা হয়েছিল, তাও গৃহীত হয়নি। সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে মুখ্যসচিবের সুপারিশের উল্লেখ নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) তার প্রেস বিবৃতি থেকে বাদ দিতে হবে, কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই আবেদনই জানিয়েছিলেন মামলাকারী। আর সেই মামলার শুনানিতে একের পর এক প্রশ্ন তোলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল (Rajesh Bindal)।

প্রসঙ্গত, ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছিল, সেই বিবৃতির ৬ ও ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি বর্তমানে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। বাংলার বন্যা পরিস্থিতিতেই ভোটে কোনও প্রভাব ফেলবে না। ভারতীয় সংবিধানের ১৬৪ (৪) ধারায় একজন মন্ত্রী যদি বিধানসভার সদস্য না হন, তা হলে ভোটের ফল প্রকাশের ৬ মাস পর তাঁর মন্ত্রী পদ চলে যায়। আর সেই পদে সর্বোচ্চ পদাধিকারী নিয়োগ না হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে।’

নির্বাচন কমিশনের এই বিবৃতিকে কেন্দ্র করেই আদালতে দ্বারস্থ হন সায়ন বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জনস্বার্থ মামলায় আবেদনকারী সায়ন  দাবি করেন, ভবানীপুরে নির্বাচন এখনই না করানো হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে মুখ্যসচিবের সুপারিশের যে উল্লেখ নির্বাচন কমিশনের প্রেস বিবৃতিতে রয়েছে, তা বাদ দিতে হবে। মামলাকারীর এই আবেদন নির্বাচন কমিশন মানবে কি না হাইকোর্টের কাছে সে ব্যাপারে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য, বেছে বেছে একটি বিধানসভার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবের চিঠি লেখা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার সমান। তাই, হয় নির্বাচন কমিশনের বিবৃতির তালিকা থেকে ছ’ ও সাত নম্বর অনুচ্ছেদ বাদ দিতে হবে। অথবা হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। আপাতত এই মামলায় কী রায় দেয় আদালত, সে দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: Congress: সত্যি হল অধীরের আশঙ্কা! ‘হাত’ ছাড়লেন মইনুল

আরও পড়ুন: Adir Chowdhury: ‘দিদির মুখে গ্যাস ভরছেন ঝুলন দাদু’, পিকে-কে তীব্র কটাক্ষ অধীরের