School Teacher: দুর্নীতির বোঝা কাঁধে ৫৪৩ দিন ‘ছুটি’ কাটিয়ে পদে বহাল প্রধান শিক্ষক! বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

School Teacher: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, "এমন অভিযোগ পরেও জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) চোখ বন্ধ করে কীভাবে!"

School Teacher: দুর্নীতির বোঝা কাঁধে ৫৪৩ দিন 'ছুটি' কাটিয়ে পদে বহাল প্রধান শিক্ষক! বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
অভিযুক্ত শিক্ষককে শুধু মাত্র বরখাস্ত করেই থামেনি আদালত, দেওয়া হয়েছে তদন্তের নির্দেশও
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2021 | 9:32 PM

কলকাতা: স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। অভিযোগের বহর এমন, যা শুনে তাজ্জব হয়ে যেতে হল খোদ হাইকোর্টের বিচারপতিকেও। কিন্তু দেড় বছরের বেশি সময় ধরে হাজারো অনিয়ম বেনিয়ম হচ্ছে জেনেও ‘চোখ বন্ধ করে রইলেন’ জেলা স্কুল পরিদর্শক! ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একাধারে জেলার স্কুল ইন্সপেক্টদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের শিবনগর হাইস্কুলে। কাউকে কিছু না জানিয়েই টানা ৫৪৩ দিন ‘ছুটি’ নিয়ে নিলেন এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। কী ভাবে? ঘটনা হচ্ছে, তাঁর নামে বছর দেড়েক আগে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। কী ধরনের অভিযোগ? সূত্রের খবর, কন্যাশ্রীর অনুমতির করিয়ে দিয়ে তিনি টাকা তুলতেন বলে অভিযোগ। মিড-ডে মিলেও দুর্নীতি করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি, পড়ুয়াদের টাকা নিয়ে তা সংশ্লিষ্ট জায়গায় জমা না দেওয়ার মতো বিস্ফোরক অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।

এহেন একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকায় সেই প্রেক্ষিতে শো-কজও করা হয় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে। কিন্তু তিনি শো-কজের জবাব দেননি। উল্টে ৫৪৩ দিনের ‘ছুটি’ কাটিয়ে জেলার স্কুল ইন্সপেক্টরের নির্দেশে পুনর্বহাল হয়ে যান প্রধান শিক্ষক পদে। এই ঘটনায় রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন মন্তব্য করেন, “এমন অভিযোগ পরেও জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) চোখ বন্ধ করে কীভাবে!”

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ‘কেষ্ট চুপ থাকবে না’, দলের কর্মীকেই গুলি করার নিদান অনুব্রতর!

জেলা শিক্ষা দফতরের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে মুর্শিদাবাদ জেলার স্কুল ইন্সপেক্টরদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। মার্চ ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের স্কুল ইন্সপেক্টদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশককে। আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে এই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নানান ‘কীর্তিতে’ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: Post Poll Violence: কলকাতার অবস্থা ভয়ঙ্কর, ২০ কো-অর্ডিনেটরের বিরুদ্ধে FIR চেয়ে আবেদন হাইকোর্টে

আরও পড়ুন: Kamarhati: ডায়ারিয়া নয়, কামারহাটিতে কলেরা থেকেই সংক্রমণ বৃদ্ধি, বলছে নাইসেডের প্রাথমিক রিপোর্ট