পূর্ব মেদিনীপুর: উপকূলের জেলায় আবারও ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) শিবিরে অশান্তির অভিযোগ। এবার আঙুল উঠল সোজা পুলিশের দিকে। অভিযোগ বিজেপি সমর্থকদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের ফর্ম জমা দিতে বাধা দিয়েছেন পুলিশ কর্মীরা। সোমবার যা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি (Khejuri) এলাকায়।
এদিন খেজুরী ২ নম্বর ব্লকের কশাড়িয়া হাইস্কুলে ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য ব্যাপক ভিড় হয়। সেখানে বেছে বেছে কয়েকজনকে ফর্ম জমা দিতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর সে অভিযোগ বিপরীত দলের বিরুদ্ধে নয়, পুলিশের বিরুদ্ধে! বিজেপি সমর্থিত মহিলাদের ফর্ম জমা দিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে, এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল স্কুল চত্বরে।
তালপাটি ঘাট কোস্টাল থানার ওসির নেতৃত্বে থাকা পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কয়েকজন মহিলা অভিযোগ করেন, তাঁরা বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক বলেই সরকারি প্রকল্প থেকে তাঁদের বঞ্চিত করার চেষ্টা হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশকে ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ শুরু করেন ওই মহিলারা। কয়েকজন বিজেপি কর্মীও হাজির হন সেখানে। প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় হাইস্কুল চত্বরে। সেই ভিড়ের মধ্যে শোনা যায়, একজন বলছেন এলাকার বিধায়ক শান্তনুবাবু না এলে এর সুরাহা হবে না। এক বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, তাঁদের হাতে থাকা ফর্ম দেখতে চেয়েছিলেন দলের একজন। সেই সময় তাঁকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন এক পুলিশ কর্মী। তার পর চড়া রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এর প্রতিবাদ করলে অন্যদের ফর্ম জমা দিতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার তালপাটি ঘাট কোস্টাল থানার পুলিশ। উল্লেখ্য, কশাড়িয়া হাইস্কুলে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, দুয়ারে সরকারে ক্যাম্প সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।
খেজুরির তৃণমূল নেতা ডাঃ পার্থ প্রতিম দাসের আবার অভিযোগ, সরকারি কর্মসূচিকে কালিমালিপ্ত করতে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সর্বৈব মিথ্যা বলে অভিযোগ করেন তিনি। জানান, খেজুরিতে তাঁরা হেরে গিয়েছেন বটে কিন্তু সরকারি প্রকল্পের সুবিধা যাতে সবাই পান সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও বিজেপির অভিযোগ একটি রাজনৈতিক দলের দলদাসে পরিণত হয়েছে পুলিশ। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের।
উল্লেখ্য, একুশের ভোটে নন্দীগ্রাম বিধানসভা লাগোয়া খেজুরি বিধানসভাতেও তৃণমূলের পরাজয় হয়েছে। এর পর একাধিকবার অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে এই বিধানসভা এলাকায়। ভোট পরবর্তী হিংসা থেকে ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের ত্রাণবিলি সবেতেই রাজনৈতিক সংঘর্ষের অভিযোগ উঠে এসেছে। আরও পড়ুন: ‘কোভিডে ঘরে বসে মাইনে পেয়েছেন শিক্ষকরা…’ শিক্ষক দিবসে মন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে