পূর্ব মেদিনীপুর: শেষবেলার প্রচারে বেরিয়ে ফের হুঁশিয়ারি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শুক্রবার বিকেলে তাম্রলিপ্ত পুরসভার বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে ভোট প্রচার করেন শুভেন্দু। সেখানেই তাঁর হুঁশিয়ারি, কাঁথি, এগরা কিংবা তমলুকে ভোট লুঠ হলে দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম হবে। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এ রাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন। তবে ভোটের সময় কোনও রকম লুঠ হলে বিজেপিও চুপ করে বসে থাকবে না। পথে নেমে প্রতিবাদ আন্দোলন করবে তারা। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ”এ রাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন। বিজেপি প্রধান বিরোধী দল, লড়াই করছে। তাই বিজেপি বেশি টার্গেট। যেখানেই বিরোধিতা করবেন সেখানেই আক্রান্ত হবেন। কত জায়গায় নির্দলকে মারধর করা হচ্ছে। মুর্শিদাবাদে মধ্যরাতে অধীর চৌধুরী বলছেন, আমাকে মার। রাজ্যে বহুদলীয় গণতন্ত্র নেই। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সর্বত্রই সন্ত্রাস হবে। তাই আমরা ঠিক করেছি প্রতিরোধ করব। ভোট দিতে না দিলে প্রতিরোধ করব। কাঁথি, এগরা, তমলুকে ভোট লুঠ করলে রাস্তা অবরোধ হবে। কাঠের গুঁড়ি ফেলা হবে। আবার নন্দীগ্রাম হবে।”
আগামী রবিবার রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ভোটগ্রহণ। নিঃসন্দেহে এই ১০৮টি পুরসভার মধ্যে ‘হাইভোল্টেজ’ কাঁথি পুরসভা। এত বছর এই পুরসভা দখলে ছিল অধিকারীদের। কিন্তু এবার অধিকারী পরিবারের কোনও প্রতিনিধি ভোটের লড়াইয়ে নেই। ইতিমধ্যেই কাঁথি পুরসভা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কাঁথির মহকুমাশাসক তথা মিউনিসিপ্যাল রিটার্নিং অফিসারের তরফ থেকে বিগত কয়েক দিন আগে একটি নোটিস জারি করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয় ১৫০ টি ইভিএম, যেগুলি কাঁথি পুরসভার নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে – সেগুলি যাতে সিল না করা হয়।
এখানেই পদ্ম নেতাদের বক্তব্য, তাহলে কি ভোট লুঠের কোনও চক্রান্ত করা হচ্ছে? কাঁথি পুরভোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিরোধীরা। যদিও কমিশনের তরফে এর ব্যাখ্যা হিসাবে বলা হয়েছে, কয়েকটি সিল নষ্ট (স্পয়েল) হয়ে গিয়েছিল। তা নিয়ে মহকুমাশাসক নোটিস করেছিলেন। আর এতে কোনও ভুল নেই। অনেকে ভেবেছিলেন, কমিশনের সিলের বাইরে অন্য সিল ব্যবহার করা হবে। কিন্তু তেমন আশঙ্কার কোনও কারণ নেই।
আরও পড়ুন: Mala Roy on Russia-Ukraine: ভারতীয়দের নিরাপদে ফিরিয়ে আনুন, বিদেশমন্ত্রীকে চিঠি মালা রায়ের