পূর্ব মেদিনীপুর: আরজি কর-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত এক জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু আরজিকরের পড়ুয়া চিকিৎসকদের তরফ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে, এই ঘটনা একার পক্ষে সম্ভব নয়। নৃশংসতা দেখে অনেক চিকিৎসকও দাবি করেছেন এটা গণ নির্যাতনের ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে গত চার দিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে তিন জন চিকিৎসক পড়ুয়ার ছবি ঘোরাফেরা করছে। অভিযোগ উঠছে, তাঁরাই এই ঘটনার নেপথ্যে জড়িত। তাঁদের মধ্যে একজনের ছবি-নাম-সহ পোস্ট করে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রর ছেলে। কিন্তু এ দাবির সত্যতা কতটা? এবার মুখ খুললেন খোদ প্রাক্তন মন্ত্রী।
TV9 বাংলাকে সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “আরজি কর কাণ্ডে যে ভাবে অপপ্রচার হচ্ছে আমি বা আমার পরিবার জনরোষের শিকার হতে পারি। জনরোষ বুঝবে না কোনটা আমার ছেলে, কোনটা নয়, গণপিটুনির শিকার হতে পারি আমরা।”
গত কয়েকদিনে যেভাবে ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেভাবে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ওই যুবক সৌমেন মহাপাত্রের ছেলে, তাতে সামাজিক ভাবেই নানারকমভাবে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রীকে। দিনে হাজারও ফোন আসছে। তাঁকে একাধিক প্রশ্ন করা হচ্ছে। চরম মানসিক নির্যাতনের মধ্যে আছেন খোদ প্রাক্তন মন্ত্রী ও তাঁর পরিবার। সেকথা নিজেই জানালেন সৌমেন মহাপাত্র।
গত পরশু থেকে সমাজিক মাধ্যমে একটি ছবি ভাইরাল হয়। যে ছবিতে লেখা আরজি-কর কাণ্ডে জড়িত যুবক, যিনি এখন নিখোঁজ, তিনি সে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রর ছেলে। আসলে পদবী এক হওয়াতে এই পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে ঝড়ের গতিতে।
তারপরই তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক করে প্রাক্তন মন্ত্রী। সৌমেন মহাপাত্র জানান, তাঁর ছেলের নাম বোধিসত্ত্ব মহাপাত্র। ওই যুবক তাঁর পরিবারের কেউ না। সৌমেন মহাপাত্র দাবি করেন, প্রবাদে আছে কাক কাকের মাংস খায় না। এক্ষেত্রে কাক কাকের মাংস খাচ্ছে।
সৌমেন মহাপাত্র সরাসরি না বললেও তাঁর স্ত্রী সুমনা মহাপাত্র দাবি করেন, পাঁশকুড়ার তৃণমূলের একাংশ তার পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে, এভাবে মিথ্যা প্রচার করে। যাঁর ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তাঁর পরিচয় প্রকাশ্যে আনেননি প্রাক্তন মন্ত্রী। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, তিনি তাঁর ছেলে নন।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)