কাঁথি: কাঁথি কলেজে দুর্নীতির অভিযোগ। সোমবার আদালতে গেলেন সৌমেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, কলেজের গৃহ নির্মাণে অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করা হয়। পরে কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে কাঁথি আদালতে করা সেই মামলার ভিত্তিতে অফআই আর খারিজ করা হয়। এরপর ওই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন প্রাক্তন কাঁথি কলেজ পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, এই মামলা সৌমেন্দু আইনজীবী মারফৎ করেন। ওনার বিপক্ষে করা মামলাকারী ছিলেন আবু সোহেল ও অনেকে। সোমবার দাখিল করা এই মামলার শুনানী আগামী ২৪ তারিখ।
কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী আবু সোহেল বলেন, “কলেজের গৃহ নির্মাণে অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের কাঁথি আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উনি হাইকোর্টে গিয়েছেন। কপি যদিও আমি এখনও হাতে পাইনি। মামলার তারিখ ২৪ দেখাচ্ছে। কাঁথি মহকুমা আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট নিশ্চয় বিচার-বিবেচনা করে রায় দিয়েছেন। উচ্চ-আদালতের উপর আমাদের আস্থা রয়েছে। আশা করছি সেখানকার ম্যাডিস্ট্রেটও সব কিছু বিচার-বিবেচনা করে দেখবেন। কলেজটিই মুলত দাঁড়িয়ে রয়েছে ওনার আদেশের মূলে। কিন্তু কোনও নিয়ম মানা হয়নি। না টেন্ডার মানা হয়েছে, না প্ল্যান সাংশন হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, এর আগে কাঁথি পুরসভার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সূত্রের খবর, কাঁথি পুরসভা দীর্ঘদিন ধরে অধিকারী গড় বলে পরিচিত। বর্তমান তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী কাঁথি পুরসভা একাধিকবার চেয়ারম্যান ছিলেন। তার পর বাড়ির মেজছেলে শুভেন্দু অধিকারী পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছেন। পরে দু’বার চেয়ারম্যান হন শিশিরবাবুর ছোট ছেলে সৌমেন্দু অধিকারী। একুশের ভোটের আগে অবশ্য তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে পুরভোটের মুখে নবান্নের নির্দেশে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে সূত্র মারফত খবর। সূত্রের খবর, অতিরিক্ত জেলা শাসক শ্বেতা আগরওয়াল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) মানবকুমার সিংহলের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তাছাড়া পুরসভার নজরদারির জন্য অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: SSC Recruitment: নিয়োগে ‘ইচ্ছাকৃত ভুল’! একাধিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ হাইকোর্টের