Bargabheema Mandir: তমলুকের বর্গভীমাকে দেখতে রাতভর মানুষের ঢল নামে মন্দিরে

Kanishka Maity | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 12, 2023 | 7:02 PM

Purba Medinipur: বর্গভীমা মন্দির কমিটির সম্পাদক শিবাজী অধিকারীর কথায়, "সকাল থেকে ভক্তের ঢল নামে প্রতিবারই। ভোর থেকে মানুষ আসেন। রাত গড়িয়ে ভক্তের ভিড় থাকে মন্দিরচত্বরে। দুপুরে মায়ের অন্নভোগ, সন্ধ্যারতির পর পুজো শুরু হয়। হোম, অঞ্জলি সবই হবে রাতে।"

Bargabheema Mandir: তমলুকের বর্গভীমাকে দেখতে রাতভর মানুষের ঢল নামে মন্দিরে
দেবী বর্গভীমা।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: ৫১ পিঠের অন্যতম সতীপীঠ তমলুকের বর্গভীমা। এই পীঠের প্রাচীন নাম বিভাস। কালী এখানে ভীমারূপা বা বর্গভীমা নামেই পরিচিত। কথিত আছে, এখানে সতীর বাঁ পায়ের গোড়ালি পড়েছিল। মুকুন্দরামের চণ্ডীমঙ্গলে বর্গভীমার উল্লেখ আছে। মার্কণ্ডেও পুরাণেও আছে দেবী বর্গভীমার কথা। শোনা যায়, একটা সময় তমলুকে কোনও শক্তির পুজো হতো না। কেবল বর্গভীমারই পুজো হত এখানে। এরপর পুজোর সংখ্যা বেড়েছে। তবে এখানে এখনও কোনও শক্তির পুজো করার আগে তা ক্লাব হোক বা বাড়ির, প্রথমে দেবী বর্গভীমার পুজো করা হয়। বলা হয়, বর্গভীমার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তার পর পুজো হয়। একেবারে শোভাযাত্রা করে মন্দিরে এসে অনুমতি নেয় তারা।

বর্গভীমা মন্দির কমিটির সম্পাদক শিবাজী অধিকারীর কথায়, “সকাল থেকে ভক্তের ঢল নামে প্রতিবারই। ভোর থেকে মানুষ আসেন। রাত গড়িয়ে ভক্তের ভিড় থাকে মন্দিরচত্বরে। দুপুরে মায়ের অন্নভোগ, সন্ধ্যারতির পর পুজো শুরু হয়। হোম, অঞ্জলি সবই হবে রাতে।”

মন্দিরের পুরোহিত পুষ্পেন্দু চক্রবর্তী বলেন, “অমাবস্যা লাগার পর থেকেই বহু ভক্ত পুজো দেওয়া শুরু করেন। দূর দূরান্ত থেকে আসেন তাঁরা। ভোরেই মাকে স্নান করানো হয়েছে। তারপর রাজবেশ পরানো হয় মাকে। এদিন ভোগের পদেও কিছু বদল থাকে। যেহেতু বিশেষ দিন তাই রোজের সপ্তব্যঞ্জনের সঙ্গে পোলাও, মায়ের মহাপ্রসাদ থাকবে। সন্ধ্যারতির পর মায়ের পুজো শুরু হয়ে যাবে। এখানে তন্ত্রমতেই পুজো হয়।” তমলুকের বাসিন্দা সোনালি পণ্ডা প্রতিবারই আসেন এদিন বর্গভীমা মন্দিরে। এবারও অন্যথা হয়নি। বলছিলেন, “আজকের দিনে মাকে না দেখলে মনটাই কেমন একটা করে।”

Next Article