পূর্ব মেদিনীপুর: ৮ এপ্রিল পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি জনসভা রয়েছে। সেই জনসভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। সভার অনুমতি চেয়ে বিজেপির তরফে থেকে আদালতে আর্জি করা হয়। সভা করার অনুমতি দেয় আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা এই সভা করার অনুমতি দিয়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশ মিলতেই শুরু তোড়জোড়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত কয়েক বছরে ময়নায় তৃণমূল ব্যাপক শক্তিবৃদ্ধি করেছে। তবে বিভিন্ন কারণে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে তেতে থাকে এলাকা। আর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকদলের সেই দুর্বলতাকেই হাতিয়ার করতেন চান বিরোধীরা। সেই আবহেই সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ ছিল, সেই সভাতেই অনুমতি দিচ্ছিল না প্রশাসন। বিচারপতি মান্থা এই সভার অনুমতি দেন।
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন, “সামনেই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। বারংবার ময়নাতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের ওপরে গুলি বোমা বন্দুক-সহ হামলা চালায়। আর তাই কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা ঠিক করা হয়েছিল ময়নার বাকচায়। বর্তমান শাসক দল বিরোধী দলনেতার যে কোন জনসভার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে। আর বারবার হাইকোর্টে যেতে হয় সভার অনুমতির জন্য।” তাঁর কথায়, এই মামলায় রাজ্য সরকারই মুখ পুড়েছে।
তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপি যে জায়গায় সভা করছে সে জায়গাতেই গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে।” প্রসঙ্গত এর আগেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিরোধী দলনেতা এর আগেও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাকড়ায় সভা করার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। একটি স্কুল মাঠে সেই সভা করার কথা ছিল। কিন্তু প্রথমে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেই সভার অনুমতি দিলেন, পরিচালন কমিটি অরাজি থাকায় পুলিশ সেই সভা অনুমতি দেয় না। বিচারপতি মান্থার এজলাসে সেই মামলা ওঠে। বিচারপতি সেই সভার অনুমতি দেন।