পূর্ব মেদিনীপুর: বিরোধী শিবিরকে তুলোধনা করতে শুভেন্দু অধিকারী কখনও পিছপা হন না। বিরোধী দলনেতা হিসাবে সবসময়ই নিজেকে সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। ভোটের আগে তৃণমূলের অন্দরে বিক্ষোভ-বেসুরকে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। প্রচারে হাততালিও পেয়েছেন বিজেপি কর্মীদের। কিন্তু উলট পুরাণ হলে, আর তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করলে কিছুটা বিরক্তই হন বিরোধী দলনেতা। রবিবার শঙ্কুদেব পণ্ডার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই তাই বিরক্ত শুভেন্দু সাংবাদিকদের বললেন, ‘আপনাকে ভাবতে হবে না! কে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে ঢুকল, কে বেরোল এটা আপনাদের কাজ নয়।’ যদিও এরপরই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, দল শঙ্কুদেব পণ্ডাকে দল অন্য কাজে লাগাবে।
রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে আক্রান্ত নেতা তাপস মাজিকে দেখতে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই শুভেন্দুর কাছে শঙ্কুদেবের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়া নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তার জবাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আপনাকে ভাবতে হবে না। ৩৫ বছর পর্যন্ত যাদের বয়স বিজেপির যুব মোর্চা তাঁরা করবেন। শঙ্কুর বয়স ৩৫ পেরিয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই যুব মোর্চার যে কমিটি নতুন করে হচ্ছে তাতে বয়স অনুযায়ী হচ্ছে। দল হয়ত শঙ্কুকে অন্য কোথাও কাজে লাগাবে। এটা নিয়ে মিডিয়ার এত ভাবার কিছু নেই। মিডিয়া কোভিড নিয়ে ভাবুক। কে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে ঢুকল, কে বেরোল এটা আপনাদের কাজ নয়। এটা বিজেপির কাজ, বিজেপি ভাল জানে।”
এর আগে একাধিক বিজেপি নেতা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর বিরোধী দলনেতাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে একইভাবে রেগে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দলের ‘ভাঙন’ রুখতে কী করছেন জানতে চাওয়ায় তিনি বলেছিলেন, “এটা কি আপনার কাজ? আপনাকে বলব কেন! দলের বিষয় দল বুঝবে।” এদিনও একইভাবে থামালেন সংবাদমাধ্যমকে।
প্রসঙ্গত বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার যে ক’টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে, সবগুলি থেকেই রবিবারই ‘লেফট’ করে যান শঙ্কুদেব পণ্ডা। এরপরই জোরাল হয় জল্পনা! তবে কি এক সময় শঙ্কুর ‘রাজনৈতিক গুরু’ মুকুল রায়ের মতো তিনিও তৃণমূলে ফিরে যাবেন। এ নিয়ে শঙ্কুদেব পণ্ডা কোনও কথা বলেননি। তবে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, “তৃণমূল, সিপিএম ছেড়ে বহু সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা মন দিয়েই দলটা করছেন।”