Bengal BJP: রবিবার সন্ধ্যায় শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে ‘গোপন বৈঠক’! ‘বিক্ষুব্ধ’ সায়ন্তন, রীতেশের সঙ্গে জয়প্রকাশও

BJP: গত কয়েকদিন ধরে বার বারই বিজেপির নয়া রাজ্য ও জেলা কমিটি ঘিরে একাধিক বিতর্কের উদ্রেক ঘটেছে।

Bengal BJP: রবিবার সন্ধ্যায় শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে 'গোপন বৈঠক'! 'বিক্ষুব্ধ' সায়ন্তন, রীতেশের সঙ্গে জয়প্রকাশও
শান্তনু ঠাকুরের বাড়ির বাইরে সায়ন্তন বসু। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 10, 2022 | 12:42 AM

উত্তর ২৪ পরগনা: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে রবিবাসরীয় বৈঠক নিয়ে জোর জল্পনা। রবিবার ঠাকুরনগরে শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে আচমকাই দেখা গেল বিজেপির একাধিক বিক্ষুব্ধ নেতাকে। সায়ন্তন বসু, রীতেশ তিওয়ারি ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন আরও অনেকেই। একইসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারও। যদিও কী নিয়ে এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক, সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। মুখ খোলেননি শান্তনু ঠাকুরও।

গত কয়েকদিন ধরে বার বারই বিজেপির নয়া রাজ্য ও জেলা কমিটি ঘিরে একাধিক বিতর্কের উদ্রেক হয়েছে। নয়া দুই কমিটির সদস্য তালিকা সামনে আসতেই একদিকে যেমন বিজেপিতে ‘লেফট’ রাজনীতির প্রকাশ প্রকট হয়েছে। একইভাবে বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক দৃঢ়তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটিতে মতুয়াদের কোনও প্রতিনিধি নেই বলে অভিযোগ তুলে কিছুদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পাঁচ বিজেপি বিধায়ক বিধায়ক হোয়াটস অ্যাপের একটি গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান। তালিকায় ছিলেন অশোক কীর্তনিয়া, মুকুটমণি অধিকারী, সুব্রত ঠাকুর, অসীম সরকার এবং অম্বিকা রায়। পরে যদিও অম্বিকা রায় বলেছিলেন, ভুল করে বেরিয়ে গিয়েছেন গ্রুপ থেকে। তবে বাকিরা কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়ই ছিলেন।

জল্পনায় ঘৃতাহুতি পড়ে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের দলীয় হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া ঘিরে। যদিও শান্তনু সে সময় জানিয়েছিলেন, “কেন গ্রুপ ছেড়েছি, সময়মতো জানাব।” এরপর এখনও অবধি তিনি এ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি। এরই মধ্যে রবিবার তাঁর বাড়িতে এই বৈঠক ঘিরে জল্পনা দানা বেঁধেছে। বিশেষ করে বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতারা সেখানে হাজির থাকায় প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি শান্তনুই বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের মুখ হয়ে উঠছেন?

বিজেপির রাজ্য কমিটি ও জেলা কমিটি নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, বহু জায়গায় বহু লোককে বাদ দেওয়ার যেমন অভিযোগ উঠেছে। তেমনই মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের দূরে ঠেলারও অভিযোগ উঠেছে। এমনকী যাঁদের নতুন জেলা সভাপতি করা হয়েছে, তাঁদের অনেকে জেলা চেনেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে। শোনা যাচ্ছে, বিজেপির উচ্চ নেতৃত্ব শান্তনু ঠাকুরকেই দায়িত্ব দিয়েছেন এই বিষয়ে কোথায় কার কী অভিযোগ তা অনুধাবনের।

সম্ভবত আগামী সপ্তাহে দিল্লি যাচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি। সেখানেই এই সমস্ত বিষয়ে কথা হওয়ারও জোর জল্পনা। সূত্রের খবর, রবিবারের বৈঠকে বর্তমান রাজ্য কমিটিরও কেউ কেউ উপস্থিত ছিলেন। যদিও এ নিয়ে বিজেপির তরফে কেউ কোনও বক্তব্য জানাননি।

তবে আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “গ্রুপ নিয়ে বিজেপিতে রাজনীতি হয় না। পদপ্রাপ্তি নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হতে পারে। তবে দলের সমস্যা দলের অন্দরেই মেটানো হবে। আমাদের দল একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। কেবলমাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থ দেখে দল কাজ করে না।”

আরও পড়ুন: Covid Positive: করোনা আক্রান্ত সুকান্ত মজুমদার, ভর্তি ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে