মহিষাদল: পূর্ব মেদিনীপুরের সমবায় ভোটে ফের ধাক্কা খেল তৃণমূল সমর্থিত প্যানেল। উড়ল লাল-গেরুয়া আবির। মহিষাদরের অমৃতবেড়িয়া সমবায় কৃষি কল্যাণ সমিতির ভোটাভুটি ছিল বুধবার। মোট ৬৩টি আসন রয়েছে এখানে। একদিকে ছিল তৃণমূল সমর্থিত প্য়ানেল। অন্যদিকে ছিল বিরোধীদের প্যানেল। ঘোষিত কোনও জোট না হলেও ‘বাম গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল প্রার্থীর’ ব্যানারে এককাট্টা হয়েছিল শাসক বিরোধী পক্ষ। সেখানে তৃণমূল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জিতেছে ২৯টি আসনে। বাকি ৩৪টি আসনেই জিতেছে বিরোধী প্রার্থীরা। সমবায় ভোটের ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই উল্লাসের ছবি ধরা পড়ল বিরোধী শিবিরে। একইসঙ্গে উড়ল লাল ও গেরুয়া আবির।
এদিকে সমবায় ভোটের ফলাফলের পর আবারও ‘রাম-বাম’ তত্ত্ব তৃণমূলের গলায়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রবীর প্রামাণিকের বক্তব্য, এবারের ভোটে তৃণমূল সমর্থিত প্য়ানেলকে হারানোর জন্য সিপিএম ও বিজেপি জোট করেছিল। প্রসঙ্গত, এই সমবায়টি আগে থেকেই বামদের দখলে ছিল। এবারও তা দখলে নিতে পারল না শাসক শিবির। যদিও তৃণমূল নেতা প্রবীরবাবুর বক্তব্য, তৃণমূল সমর্থিত প্যানেল হারেনি। কারণ, তারা আগের বারের তুলনায় আসন সংখ্যা বাড়িয়েছে। তাও আবার একা লড়ে। বললেন, “এখানে আমরা হারিনি। আমরা জিতেই আছি। আগে আমরা ১৪টা জিতেছিলাম, এবার ২৯টি জিতেছি। আমরা একা লড়াই করেছি। নৈতিকভাবে আমরাই জিতেছি।”
যদিও স্থানীয় বাম নেতা বলে পরিচিত অশোক অধিকারীর বক্তব্য, কোনও রাজনীতির রঙ দেখে প্রার্থী করা হয়নি। ভাল ভাল মানুষদের বেছে, তাঁদের প্রার্থী করা হয়েছে বাম গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল গোষ্ঠীর পক্ষে। বললেন, ‘কে কোন রাজনীতি করেন, তা দেখা হয়নি। যাঁরা ভাল মানুষ, যাঁরা সমিতির কথা ভাবেন, নেতিবাচক কিছু হলে প্রতিবাদ করেন, তাঁদের প্রার্থী বেছে নেওয়া হয়েছিল।’
মহিষাদলের এই অমৃতবেড়িয়া সমবায় কৃষি কল্যাণ সমিতির অন্যতম সমবায়ী সন্তু জানাও বলছেন, ‘কেউ কেউ আগের বোর্ডকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিল। মানুষ তার যোগ্য জবাব দিয়েছে। তৃণমূল ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল – সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস সব দলের সমর্থকরা একত্রিত হয়েছিল। এই জয় মানুষের জয়।’