কাঁথি: তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর পরবর্তী রাজনৈতিক গতিবিধি কী হতে চলেছে, তা নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরমহলে। এদিন হলদিয়া আইওসির এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিব্যেন্দু। আজ হলদিয়ায় ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের ওই কর্মসূচিতে এক প্রকল্পের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। হলদিয়ার ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় এলাকার বিধায়ক তথা বিজেপি নেত্রী তাপসী মণ্ডলেরও প্রশংসা শোনা যায় দিব্যেন্দুর গলায়। এদিন বক্তব্যের শুরুতে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনিও দিতে শোনা যায় তমলুকের সাংসদকে।
পরে অনুষ্ঠানের শেষে বিজেপি বিধায়কের প্রশংসার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল দিব্যেন্দুকে। যদিও তাঁর সটান জবাব, ‘কারও প্রশংসা করা কি অপরাধ? আমি এটা মনে করি না। আমি ভালকে ভাল বলি, খারাপকে খারাপ বলি। তিনি যে কাজ করছেন, তা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।’ ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনি প্রসঙ্গেও এদিন প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। সেক্ষেত্রেও তাঁর একই প্রশ্ন, ‘ভারত মাতা কি জয় বলা কি কোনও অপরাধ?’
এদিকে দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সাম্প্রতিক যে চর্চা শুরু হয়েছে, তা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না তৃণমূল শিবির। তৃণমূল নেতা সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে, তৃণমূলের কর্মীদের ভোট নিয়ে নির্বাচিত একজন সাংসদ ভিতরে ভিতরে বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন। ২০২১ সালে এই সাংসদ কোথায় ছিলেন? দলের একটিও প্রচারে দেখা গিয়েছে? ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে এই সাংসদকে পাওয়া গিয়েছে?’ সুপ্রকাশের আরও সংযোজন, ‘সাংসদ নিখোঁজ ছিলেন। এটা বাস্তব, তিন বছর পর দিব্যেন্দু অধিকারীকে মানুষ খুঁজে পেয়েছেন। নিখোঁজ সাংসদকে আবার পর্দার সামনে পাওয়া গিয়েছে।’
উল্লেখ্য, রাজ্য রাজনীতির পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব ক্রমেই বেড়েছে। এখন দিব্যেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের যোগ বলতে শুধু খাতায় কলমে তৃণমূলের টিকিটে জেতা সাংসদ। গতকাল টিভি নাইন বাংলাকে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব প্রসঙ্গে দিব্যেন্দু নিজেই জানিয়েছেন, ‘আমি দলে নেই-ই ধরে নিতে পারেন।’ সঙ্গে এও বলেছিলেন, সুযোগ পেলে তিনি নিশ্চয়ই বিজেপিতে যোগদান করবেন। আর এই নিয়েই তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনৈতিক অন্দরমহলে।