কাঁথি: ধাক্কা যেন থামছেই না! লোকসভা ভোটের পরেও উপনির্বাচনেও ভরাডুবি হয়েছে বিজেপি। ছয় আসনের মধ্যে কোনও আসনেই দাগ কাটতে পারেননি পদ্ম প্রার্থীরা। এবার একেবারে শুভেন্দুর খাসতালুকেও বড় ধাক্কা বিজেপির। হাত ছাড়া হয়ে গেল আস্ত একটা গ্রাম পঞ্চায়েত।
শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের কাঁথি ১ নম্বর ব্লকের হৈপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে জেতে বিজেপি। পঞ্চায়েত মোট ২৩ টি আসন। তৃণমূল পায় ১০ আসন। বিজেপি পায় ১২টি আসন। কিন্তু, এক বছর কাটতে না কাটতেই ঘুরে যায় খেলা। বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দেন তৃণমূলে। যদিও তখনও এগিয়ে বিজেপি। কিছু সময়ের মধ্যে এক নির্দল সদস্য যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। কিন্তু, তখনও অনেক জল গড়ানো বাকি। ফলে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ১০ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১২। অন্যদিকে বিজেপির সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১১। এরইমধ্যে এবার নতুন সমীকরণ।
এদিকে পঞ্চায়েতের নিয়ম বলছে আড়াই বছরের আগে পঞ্চায়েত পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সদস্যদের বিরুদ্ধে অনস্থা আনা যায়। ফলে, বোর্ড এতদিন ছিল বিজেপির হাতেই। বর্তমানে গ্রামের পঞ্চায়েতের জয়ী একজন বিজেপি ও একজন নির্দল সদস্য-সহ পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যের ভোটে এগিয়ে যায় তৃণমূল। ফল দাঁড়ায় তৃণমূলের খাতায় ১৩, বিজেপির খাতায় ১১। এদিনই হয় ভোট, এদিনই বের হয় ফল। এই অনাস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। যদিও আড়াই বছর সম্পূর্ণ না হওয়ায় এই ভোটের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠেছে। বিজেপি নেতারা বলছেন, যে সদস্য তাঁদের শিবির থেকে ঘাসফুলে গিয়েছেন তাঁকে নাকি তাঁরা আগেই বহিষ্কার করেছেন দল থেকে। তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ উঠেছিল। সে কারণেই বহিষ্কার। তাই কার কী করে তৃণমূল জয়লাভ করল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন পদ্ম নেতারা।