Nandigram-Deshpran Rail: এক যুগ পার করে কাজ হবে নন্দীগ্রাম-দেশপ্রাণ রেলপথের, খুশি সবপক্ষই
Tamluk: তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী জানান, তিনি উদ্যোগ নিয়েছিলেন এই রেললাইন চালুর জন্য।
পূর্ব মেদিনীপুর: প্রতি ভোটের আগেই অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে নন্দীগ্রামের (Nandigram) নাম। সে লোকসভা ভোট হোক বা বিধানসভা নির্বাচন। সেই নন্দীগ্রামকে এবার উপহার রেল বোর্ডের। কাজ শুরু হতে চলেছে দেশপ্রাণ (বাজকুল)-নন্দীগ্রাম রেললাইনের। এই মর্মে একটি চিঠি এসে পৌঁছেছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের কাছে। রেল বোর্ডের এই সবুজ সঙ্কেতকে এক বাক্যে স্বাগত জানিয়েছে বাম, বিজেপি, তৃণমূল সবপক্ষই। তবে তার মধ্যেও বাজছে রাজনীতির সুর। সিপিএম বলছে, লোকসভা ভোট আসছে, তাই এসব ‘আইওয়াশ’। তৃণমূল বলছে, এই কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন শুরু করেন। তবে বছরের পর বছর রেল বাজেটে মেলেনি বরাদ্দ। তাই কাজ শুরুও হয়নি। এবার খুলতে চলেছে এই প্রকল্পের কপাল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই লাইনের ঘোষণা করেছিলেন। নন্দীগ্রাম থেকে দেশপ্রাণ পর্যন্ত ট্রেন চলবে, ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন নন্দীগ্রামবাসী। এরপর ২০১৯ সালের বাজেটে এই প্রকল্পের উল্লেখও হয়। চার বছর পর এবার সম্মতি দিল রেল বোর্ড।
১ বৈশাখ বাংলা নববর্ষের প্রথমদিনই নন্দীগ্রামবাসীর কাছে সুসংবাদ আসে। তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী জানান, তিনি উদ্যোগ নিয়েছিলেন এই রেললাইন চালুর জন্য। দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পরই আমি তৎকালীন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে অনুরোধ করেছিলাম। বর্তমান যিনি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন আটকে থাকা রেলপথ বাজেটে তিনি চেষ্টা করবেন। রেল বোর্ড সেই মর্মে একটি নির্দেশিকা দক্ষিণ পূর্ব রেলকে জানিয়েছে।”
যদিও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি শেখ সুপিয়ানের বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই এই লাইনের অনুমোদন করেন। তবে বাজেটে আটকে ছিল। বাংলার মানুষ উন্নয়ন চায়। নন্দীগ্রামের মানুষও তাই চায়। কাজ শুরু হোক, তখন বলব কাজ শুরু হয়েছে।”
অন্যদিকে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের সভাপতি তৃণমূলের বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, “বাংলার উন্নয়নের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নন্দীগ্রাম থেকে বাজকুল পর্যন্ত বর্ধিত রেললাইনের সূচনা করেছিলেন। রেলমন্ত্রক বাধ্য হয়েছে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার করতে।”
সিপিএম নেতা পরিতোষ পট্টনায়কের বক্তব্য, “নন্দীগ্রাম থেকে দেশপ্রাণ পর্যন্ত যে রেললাইনের কথা বলা হচ্ছে, সেটা একটা আইওয়াশ। লোকসভা ভোট আসছে, তাই দেখনদারি হচ্ছে। সত্যিই যদি এটা হয়, তাহলে সবথেকে খুশি আমরা হব।”