BJP: বিজেপি নেতাদের বেধড়ক মার, ধানক্ষেতে ফেলে রাখার অভিযোগ
Purba Medinipur: বিজেপি নেতা তাপস মাজি ও দেবপ্রসাদ চক্রবর্তী শনিবার বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় হামলার অভিযোগ উঠেছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তাপস মাজি। পটাশপুর-১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন তিনি। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর একে একে তাঁর বহু অনুগামী ফুল বদল করেন। তাপসকে সে সময় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন তাপস।
এই তাপস শনিবার রাতে আরেক বিজেপি নেতা দেবপ্রসাদ চক্রবর্তীর সঙ্গে দিদির বাড়ি থেকে ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বড়হাট এলাকায় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা দলবল নিয়ে তাপসের রাস্তা আটকায় বলে অভিযোগ। বাইক থেকে নামিয়ে তাপস ও ওই বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। লোহার রড, শাবল ও কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। এমনকী তাপস অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাঁকে পাশের ধানক্ষেতে ফেলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
বিজেপি নেতার গলায় থাকা সোনার হার, মোবাইল ও টাকা লুঠ করে নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালায় বলে অভিযোগ। এরপর খবর যান তাপসের দিদির বাড়ি। লোকজন এসে দু’জনকে উদ্ধার করে প্রথমে গোনাড়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে রবিবার সকালে কলকাতা স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
তাপস মাজির কথায়, “তৃণমূলের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। আমি কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যাইনি। দিদির বাড়ি থেকে বাইকে ফিরছিলাম। আমার সঙ্গে দেবীপ্রসাদ চক্রবর্তী ছিলেন। ওনাকেও মেরেছে। পটাশপুর-১ ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষ পণ্ডা ও তৃণমূল নেতা বিনয় পট্টনায়কের নির্দেশে এই ঘটনা ঘটেছে।”
কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, “দিনের পর দিন তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি সরছে। এভাবে আমাদের উপর হামলা চালাচ্ছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ এদের ঘর ঢুকিয়ে দেবে।”
যদিও তৃণমূল নেতা পীযূষ পণ্ডা বলেন, “ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনভাবেই যুক্ত নয়। বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। পটাশপুরে এখন আদি ও নব্য বিজেপির পঞ্চায়েতের টিকিট নিয়ে গন্ডগোল শুরু হয়েছে। সেখানে একটি মদের আসর বসেছিল, সেখান থেকে গোলমাল হতে পারে। পুলিশকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।” পটাশপুর থানার ওসি রাজু কুণ্ডু বলেন ” এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেখানে কাউকে দেখতে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।”
এই ঘটনার নিন্দা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। লেখেন, “আইনি লড়াই সহ সবরকমভাবে তাপস বাবুর পাশে আছি, গোটা বিজেপি পরিবার ওনাদের পাশে আছে।”