পূর্ব মেদিনীপুর: পুলিশের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবু সেসব উপেক্ষা করে রবিবার মন্দারমণিতে সমুদ্রস্নানে নামেন বন্ধুরা। সেখানেই ডুবে মৃত্যু হয় দু’জনের। কলকাতার এক যুবক ও ঝাড়খণ্ডের এক যুবতীর মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে মন্দারমণির মোহনায় সমুদ্রস্নান করতে নেমেছিলেন এক দল ছেলে মেয়ে। আচমকাই তিনজন তলিয়ে যান। এর মধ্যে দু’জন কলকাতার, একজন ছিলেন ঝাড়খণ্ডের। নুলিয়ারা কোনও মতে একজনকে টেনে তোলেন। কিন্তু দুই যুবক যুবতীকে সে সময় উদ্ধার করা যায়নি। এর কিছু সময় পর মন্দারমণি উপকূল থানার পুলিশ পড়শি রাজ্যের সৃষ্টি গুপ্তা (২১) ও কলকাতার বালিগঞ্জের সারিম সরফরাজের (২৩) দেহ উদ্ধার করে। মন্দারমণি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, আট বন্ধুর একটি দল মন্দারমণিতে বেড়াতে এসেছিল। সেখানেই একটি হোটেল নেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হোটেলের ভিতর মদ্যপান করেন তাঁরা। এরপর মদ্যপ অবস্থাতেই সমুদ্রের জলে স্নান করতে নামেন। যদিও বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ বলেই জানাচ্ছে মন্দারমণি থাকার পুলিশ।
মন্দারমণি উপকূল থানার ওসি অনুষ্কা মাইতি বলেন, “সমুদ্রে স্নান করতে নেমে তিনজন তলিয়ে যান। একজনকে উদ্ধার করা গেলেও বাকি দু’জনকে পাওয়া যায়নি। পরে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের মাইকিং চলছিল, নুলিয়ারা হাজির ছিল বলেই সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”
তবে এই ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, রবিবার থেকেই অশনি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্রস্নানে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। উপকূলের বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। এরপরও কী করে তিনজন জলে নেমে গেলেন? কারও নজরে কেন তা পড়ল না? যে হোটেলে উঠেছিলেন এই আটজন, সেখান থেকে কেন সতর্কবার্তা দেওয়া হল না, সমস্ত প্রশ্নই উঠছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।