Haldia Port: দুই ঠিকাদারি সংস্থার টানাপোড়েন, ২৪ ঘণ্টা পরও হলদিয়া বন্দরে থমকে জাহাজের পণ্য খালাসের কাজ
Haldia: ঠিকাদারদের কাজের জটিলতার জন্য থমকে রয়েছে কাজ। কখন এই সমস্যা মিটবে, সেই অপেক্ষাতেই রয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি।
হলদিয়া: দুই ঠিকাদারি সংস্থার মধ্যে সমস্যা। আর তার জেরেই থমকে রয়েছে কাজ। শনিবার বিকেল থেকে হলদিয়া বন্দরে (Haldia Port) দাঁড়িয়ে রয়েছে পণ্য বোঝাই জাহাজ। হলদিয়া বন্দরের ১৩ নম্বর বার্থে আটকে থাকা ওই জাহাজের পণ্য নামানো হচ্ছে না। এদিকে জাহাজ আটকে থাকায় আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে। সময় যত এগোচ্ছে, তত বাড়ছে ক্ষতির অঙ্ক। যদিও বন্দরের শ্রমিকদের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ঠিকাদারদের কাজের জটিলতার জন্য থমকে রয়েছে কাজ। কখন এই সমস্যা মিটবে, সেই অপেক্ষাতেই রয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি।
শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসির জেলা সভাপতি শিবনাথ সরকার এই বিষয়ে বলেন, “দুই ঠিকাদারের মধ্যে কাজ কে করবে, এই নিয়েই বিতর্ক। জাহাজ দাঁড়িয়ে রয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। যত শীঘ্র এই সমস্যায় মিটিয়ে নিক।” বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের কাজ আটকে থাকায় আর্থিক ক্ষতি যে হচ্ছে, সেই কথা তিনিও মেনে নিচ্ছেন। এদিকে সিআইটিইউ-এর রিজিওনাল কমিটির অন্যতম নেতৃত্ব অচিন্ত্য শাসমল বলেন, “২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতা আসার পর থেকেই হলদিয়া বন্দরের কাজ নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছিল এবিজেকে তাড়ানোর মধ্য দিয়ে। এখনও সেই ট্র্যাডিশন রয়েছে। শ্রমিকদের স্বার্থ না দেখেই ঠিকাদারদের স্বার্থই বেশি দেখছে বর্তমান সরকার। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।”
অন্যদিকে কলকাতা পোর্ট শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বিজলী এই বিষয়ে বলেন, “প্রায় ২৪ ঘণ্টা হতে চলল কাজ বন্ধ।” তিনি বলেন, “বন্দর কর্তৃপক্ষ হস্তক্ষেপ করে এই সমস্যা মিটিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু হোক। বন্দর কর্তৃপক্ষ নজর দিক।” যদিও বিষয়টি নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর, ফাইভ স্টার গ্রুপ অব কোম্পানি ১৩ নম্বর বার্থে কাজ পেয়েছিল টেন্ডারের মাধ্যমে। ওই সংস্থার কর্ণধার শেখ মুজাফফর বলেন, “ফাইভস্টার কাজ পেয়েছে। ফাইভস্টার এই কাজ করবে। যে কোনওভাবে যথা সময়ে জাহাজ খালি করাই হবে মূল কাজ। আমরা নিয়ম মতো কাজের টেন্ডার পেয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “আমরা কাজ করতে রাজি আছি। কিন্তু ফাইভস্টারের ব্যানারেই ১৩ নম্বর বার্থে যতদিন পর্যন্ত টেন্ডার রয়েছে, ততদিন কাজ হবে।”