Goat in School Dress: সরকারি স্কুলের ইউনিফর্ম পরে ঘাস খাচ্ছে ছাগল, এ কী কাণ্ড বাঘমুণ্ডিতে?
Goat in School Dress: অভিযোগ, সরকার স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধে দিচ্ছে কিন্তু শিক্ষকের উদাসীনতার ফলে স্কুলের পড়ুয়ারা সময় মতো পোশাক পাচ্ছে না। বাঘমুন্ডির নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের শিক্ষক মলয় রঞ্জন মাজির কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
পুরুলিয়া: রাজ্যের শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে সাম্প্রতিককালে। প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। কোনও স্কুলে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক, কোথাও আবার পড়ুয়ার অভাবে স্কুল বন্ধ হওয়ার জোগাড়। তবে শীতের সকালে এমন এক দৃশ্য দেখা গেল, যা দেখলে কার্যত চোখ কপালে উঠবে। মাঠে চরে বেড়াচ্ছে কয়েকটি ছাগল, তাদের গায়ে রয়েছে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ইউনিফর্ম। এ রাজ্যে সরকারি স্কুলে ইউনিফর্ম দেয় রাজ্য সরকার। অর্থাৎ পড়ুয়াদের জন্য যে পোশাক সরকার দিচ্ছে, সেগুলো ছাগল পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে! এই ঘটনায় আঙুল উঠেছে প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দিকে। যদিও পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষকের দাবি, এগুলি স্কুলের পুরনো হয়ে যাওয়া ইউনিফর্ম।
চাঞ্চল্যকর ওই ছবি সামনে এসেছে পুরুলিয়ায় বাঘমুণ্ডিতে। বাঘমুন্ডি থানা এলাকার চানোর বাসিন্দা দিলীপ প্রামাণিক সম্প্রতি এই অভিযোগ সামনে এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তিনি দেখতে পান গ্ৰামেরই এক বাসিন্দার একদল ছাগলকে নিয়ে মাঠে গিয়ছে। আর সবকটি ছাগলের গায়ে রয়েছে সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের জামা। এই ঘটনায় স্কুলের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন তিনি।
তিনিও আরও অভিযোগ করে বলেন, সরকার স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধে দিচ্ছে কিন্তু শিক্ষকের উদাসীনতার ফলে স্কুলের পড়ুয়ারা সময় মতো পোশাক পাচ্ছে না। বাঘমুন্ডির নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের শিক্ষক মলয় রঞ্জন মাজির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এই অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন প্রধান শিক্ষক মলয় রঞ্জন মাজি। তিনি আরও জানান, এই নীল রঙের জামাগুলি হচ্ছে স্কুলের পুরনো পোশার। এখন স্কুলের জামার নতুন রং সাদা হয়েছে। তবে স্কুলের পড়ুয়াদের জামা ছাগলের গায়ে কীভাবে এল সে সম্পর্কে কিছু জানেন না তিনি। অন্যদিকে, যাঁদের ছাগল তাঁরা বলছেন, স্কুলের কোনও শিক্ষক তাঁদের ওই পোশাক দেয়নি আর তাঁদের সন্তানও ওই স্কুলে পড়াশোনা করেন না।