পুরুলিয়া: আনিস-কাণ্ডে সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর মুখ্যসচিব ও ডিজির নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনার রিপোর্টও জমা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশে সন্তুষ্ট নয় গেরুয়া শিবির। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, সিট তদন্ত যথেষ্ট নয়। এই ঘটনার আসল কারণ জানতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। পুরুলিয়া পুরভোটের প্রচারে গিয়ে এই দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ দিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমরা দাবি করছি সিবিআই তদন্ত হোক, তবেই নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া সম্ভব। কিন্তু সিবিআই- এর নাম শুনলেই মুখ্যমন্ত্রীর গায়ে জ্বর আসে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, যে সন্দেহ জনক পরিস্থিতিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে, তার সত্যতা সামনে আসা উচিৎ।
এ দিন নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিট গঠনের কথা ঘোষণা করার পরও আনিস মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি ক্রমে জোরাল হচ্ছে। এ দিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সরকার নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। আমি ইতিমধ্যে কথা বলেছি। ডিজির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা ফরেনসিক রিপোর্টের ব্যবস্থা করেছে। ঘটনাটা দুর্ভাগ্যজনক। কোনও মৃত্যুই আমাদের কাছে কাম্য নয়।’
উল্লেখ্য, আনিসের পরিবারের সঙ্গে দেখাও করতে চেয়েছেন মমতা। নবান্নে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আনিসের দাদা জানিয়েছেন, তাঁরা নবান্নে যাবেন না। আনিস মৃত্যুতে কার্যত ইতিমধ্যেই বঙ্গ রাজনীতি তোলপাড়। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘একটা কম বয়সের ছেলে, প্রতিবাদী ছেলে, ছাত্রনেতা খুন হয়েছে। এটা রাষ্ট্রীয় খুন। এনকাউন্টার নাকি পুলিশের পোশাকে তৃণমূলের গুণ্ডারা খুন? এটা পরে ঠিক করুক। কিন্তু বিচার চাই।’
সোমবার সকালেই হাওড়ার আমতায় নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিলেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। ছাত্রনেতার বাড়িতে যান ডিএসপি সুব্রত ভৌমিক। ছাত্রনেতা আনিসের বাড়িতে ডিএসপি-র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল যায়। কারা এই খুন করেছে, তা খুঁজে বের করা হবে বলে ডিএসপি আনিসের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন ডিএসপি।
আরও পড়ুন: Municipal Elections: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিলে অসুবিধা কোথায়? কোনও ক্ষতি তো নেই! পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের